মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় জানুন
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় জানুন বিস্তারিতভাবে।বার্ষিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আর্টিকেলটি পড়লে আপনাদের মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারেন খুব সহজে।আর্টিকেলে মানসিক চাপ কি এবং তার লক্ষণ সম্পর্ক বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
আপনারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং আপনাদের মানসিক চাপ দ্রুত দূর করে ফেলুন। মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় জানুন সে সম্পর্কে আপনাদের জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে করতে হবে।
ভূমিকা
মানসিক চাপের বৈশিষ্ট্য
বর্তমান যুগে মানুষের মানসিক চাপ বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে যার কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। পারিবারিক সমস্যা ব্যক্তিগত সমস্যা রাজনৈতিক থেকে শুরু করে আরো অনেক রকম সমস্যার কারণেই হয়ে থাকে। তাই আমাদের এই সমস্যাটা দূর করার জন্য উপায় খুঁজতে হবে এবং সেই উপায়ে চলতে হবে। অর্থনৈতিক সমস্যাটাও বিশাল আকার ধারণ করে মানসিক চাপের ক্ষেত্রে। তাইআপনারা মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায়ে জানুন সে সম্পর্কে বিস্তারিত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
মানসিক চাপ থাকলে অবশ্যই সেটা কমাতে হবে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করার উপায় জানার আগে আপনারা মানসিক চাপের বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নিন। এই আর্টিকেলে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় জানুন সে সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। কিন্তু তা জানার আগে অবশ্যই জানতে হবে আপনাকে মানসিক চাপ কি এবং তার লক্ষণ বা বৈশিষ্ট্য সমূহ।
মানসিক চাপ কি
মানসিক চাপ হচ্ছে ব্যক্তির চাহিদা এবং ক্ষমতার মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি করে যে পরিস্থিতিকে সৃষ্টি করে তাকে মানসিক চাপ বলা হচ্ছে। অর্থাৎ আমরা যে কাজটি করতে চাচ্ছি বা পছন্দ করি সে কাজটি করার জন্য পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছি তখন সে কারণ এর মাধ্যমেই আমাদের মানসিকভাবে চাপ অনুভূতি হয়। সেটি হচ্ছে মান।
যেমন একটি কাজ বলা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে শেষ করতে। কিন্তু সেই কাজটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ না করতে পারার কারণে যে চাপ সৃষ্টি হয় সেটি হতে পারে মানসিক চাপের সৃষ্টির কারণ। পরিবারের লোকজনের কাছে তাদের পছন্দমত কাজ করতে না পারা।
আরো পড়ুন:গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম
তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী চাহিদা পূরণ না করতে পারা। সে ক্ষেত্রেও হতে পারে মানসিক চাপের কারণ। জোর করে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্যের মতামত চাপিয়ে দেয়া এবং স্বাধীনভাবে কারো মতামত প্রকাশ করতে না পারা হতে পারে মানসিক চাপের একটি কারণ।
মানসিক চাপের লক্ষণ
মানসিক চাপের ৩ রকমের লক্ষণ রয়েছে। এ লক্ষণগুলো ভালোভাবে বুঝে তারপরে ব্যবস্থা নিতে হবে। তিন রকমের লক্ষণ বলতে বোঝায় একটি শারীরিক লক্ষণ, মানসিক লক্ষণ, আচরণগত লক্ষণ, আসুন আমরা এ লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নি।
শারীরিক লক্ষণ
যখন মানসিক চাপ সৃষ্টি হবে তখন তার মধ্যে শারীরিক লক্ষণগুলো দেখা দিবে সেগুলো হচ্ছে
- বমি বমি ভাব
- বদহজম হওয়া হজম শক্তি কমে যাওয়া।
- ওজন বেড়ে যাওয়া আবার কমেও যেতে পারে
- বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অসুস্থতায় ভোগ
- ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা
- মাথাব্যথা করা
মানসিক লক্ষন
মানসিক চাপ বেশি হলে সাধারণত এই লক্ষণ গুলো দেখা দেয়
- ভয় লাগা
- বিরক্তিভাব হওয়া
- হতাশা ভাব
- নিঃসঙ্গতা অনুভব হওয়া
- অসহায় বোধ
- অনিশ্চয়তাই ভোগা
- সিদ্ধান্ত নিতে অসুবিধা হওয়া
- অল্পতেই রেগে যাওয়া
আচরণগত লক্ষণ
মানসিক চাপে আক্রান্ত ব্যক্তির আচরণগুলো দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে
- মাত্রা অতিরিক্ত অ্যালকোহল গ্রহণ করা
- ধূমপান করা
- রাতে না ঘুমানো
- সামাজিক বিচ্ছিন্নতা
- অতিরিক্ত খাবার খাওয়া আবার কম খাওয়া
এছাড়া ব্যক্তির স্বভাব অনুযায়ী লক্ষণ গুলোর বাইরেও কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় আবার কখনো এই লক্ষণ গুলো অল্প পরিমাণ দেখা যায় বা কখনো বেশি পরিমাণে দেখা দিতে পারে।
মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০টি উপায়
আমরা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের চাপে পড়ে যাই। আমাদের মধ্যে মানসিক চাপ লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই আমাদের তা দূর করতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই জানতে হবে মানসিক চাপ দূর করার যায় কোন কোন উপায়ে। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় জানুন ।
কিছুক্ষণের জন্য হাঁটতে বেরিয়ে পড়ুন
অতিরিক্ত কাজের চাপ যখন আসে তখন মানসিক চাপ অনুভব হয়। অনেক সময় পারিবারিক অনেক কাজ এবং অনেক সমস্যা সৃষ্টির কারণে এই সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে এসব চিন্তা মাথা থেকে দূর করে নিজে হাঁটতে বের হয়ে যান। হাঁটাহাঁটি হতে পারে মানসিক চাপ কমানোর একটি উপায়। হাটাহাটি করার সময় প্রকৃতির সাথে যাওয়া যায় এবং অক্সিজেন গ্রহণ করার মাধ্যমেও চাপ কমাতে সক্ষম হয়।
পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটান
আপনার যদি পোষার প্রাণী থাকে তাহলে তার সাথে কিছুটা সময় কাটান। তার সাথে হাটাহাটি করেন তাকে যত্ন নেন তাহলে আপনার মানসিক চাপ কিছুটা কমে আসবে। কুকুর ও বিড়াল সঙ্গে থাকলে মানুষের একাকীত্ব বোধটা দূর হয়। তাদেরকে খাওয়ার দেন যে সময় তারা খেতে চায় তাদের সাথে একটু খেলাধুলা করেন তাহলে মানসিক চাপ দূর করা যায়।
ডিজিটাল ডিভাইস থেকে বিরতি নিয়ে
বর্তমানে ডিজিটাল ডিভাইস এর কারণে মানসিক চাপ বেশি হয়ে যাচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সংবাদ ও ভয়াবহ আরো অনেক খবর দেখে অনেক সময় যায়। এর ফলে নিজের মনোনিবেশ নষ্ট হতে থাকে এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়ে যায়। লেখক ক্রিস্টিন কার্লসনের “ডোন্ট সোয়েট দ্য স্মল স্টাফ”বই জানিয়েছে যে সোশ্যাল মিডিয়া আপডেটের কোন খবর জানার জন্য ফোন চেক করা মাধ্যমে মানুষের চাপ বাড়তে পারে। তাই প্রয়োজন না হলে ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নিজেকে সরিয়ে রেখে নিজেকে সময় দেয়া উচিত।
প্রিয় মানুষ এর সাথে যোগাযোগ করে
প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটানো একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার প্রিয় মানুষের সাথে সময় কাটান এতে মানুষের চাপ অনেকটা কমে আসবে। কেননা বন্ধু ও আপন মানুষের সাথে আপনার সমস্যার কথাগুলো বললে অবশ্যই আপনার মানসিক চাপ কমে আসবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই বন্ধু হতে হবে বিশ্বস্ত এবং আপন মানুষ যাদেরকে বিশ্বাস করা যায়। তাই প্রিয় মানুষের সাথে নিজের অবস্থান এর কথাগুলো বলে নিজেকে হালকা করে তুলুন।
ভ্রমণে বের হয়ে
ভ্রমণে বের হয়ে যাওয়ার কারণ ও হতে পারে মানসিক চাপ কমানোর উপায়। আপনার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা হলে আপনি ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ুন তাহলে প্রাকৃতির কাছাকাছি গিয়ে নতুন মানুষ নতুন জায়গার সাথে পরিচিত হয়ে আপনার দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও দূর হবে। যারা ভ্রমণ করতে পছন্দ করে তারা মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকে। তাই আপনিও বেরিয়ে পড়ুন ভ্রমণে যতটা সম্ভব প্রকৃতির কাছাকাছি গিয়ে নিজের মানসিক চাপ দূর করে ফেলুন।
যোগব্যায়াম করে
প্রাচীন কাল থেকেই সারিকা মানুষদের সুস্থতার জন্য যোগব্যায়াম বা ইয়োগা একটি কার্যকরী উপায় হিসেবে গণ্য করা হয়। বিভিন্ন রকম যোগ ব্যায়াম রয়েছে সেগুলো আপনাকে একত্রে সুস্থ রাখতে সহায়তা করবে। যেগুলো সাহায্যে আপনি নিজের শরীরের রক্ত চলাচল এবং তো বিশ্বাস বাড়িয়ে মডিটেশন করবে এবং দুশ্চিন্তাকেও দূর করে দিবে। তাই আপনারা যোগব্যায়াম সকাল সন্ধ্যা করতে পারেন।
আরো পড়ুন:বিটরুট পাউডার এর দাম কত
পছন্দের কাজ গুলো করে
বিভিন্ন মানুষের পছন্দ বিভিন্ন রকম। আবার বিভিন্ন রকম মানুষ তাদের নিজের পছন্দের বিভিন্ন রকম কাজ করে স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আপনি যে কাজে নিজেকে ভালো লাগে মনে করেন সেই কাজটি করুন তাহলে আপনার ভালোলাগা কাজ করবে। এটা হতে পারে যেমন গান শোনা, বই পড়া, খেলাধুলা, মুভি, কোথাও বেড়াতে যাওয়া, বন্ধু-বান্ধবীদের সাথে আড্ডা, ইত্যাদি। যে কাজগুলো করলে আপনার ভালো লাগে সেই কাজগুলো করুন তাহলে মানুষের চাপ অনুভব করলে তা দূর হবে।
খারাপ অভ্যাস দূর করে
আপনার যেগুলো খারাপ অভ্যাস আসছে সেগুলো দূর করুন। খারাপ অভ্যাস বলতে বোঝায় ধূমপান করা। আবার অনেকেই অতিরিক্ত চা ও কফি পান করে থাকে এই অভ্যাসগুলো দূর করতে হবে। এতে আপনার মানসিক চাপ কিছুটা হলেও দূর হবে। তাই ধূমপান থেকে দূরে থাকুন।
নিজের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে
অন্যের ইচ্ছা পূরণ করতে গিয়ে নিজের ইচ্ছার কথা অনেকেই ভুলে যায়। নিজের ইচ্ছায় কোন কাজ না করতে পারলে মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তাই নিজের ইচ্ছাকেও গুরুত্ব দিন। অন্যের ইচ্ছার পাশাপাশি নিজের ইচ্ছাটাও পূরণ করুন এতে আপনার অনেকটা মানসিক চাপ দূর হয়ে আসবে।
ধর্মীয় কাজ করে
মানসিক চাপ হয়ে গেলে তখন দেখা যায় মানুষ অস্থিরতা বোধ করে তা থেকে অসুস্থ হয়ে যায়। অনেকে বাইরে যেতে চাই না তাই সে ক্ষেত্রে ধর্মীয় কাজগুলো হতে পারে আপনার মানসিক চাপ কমানোর ভালো একটি মাধ্যম। আপনি ধর্মীয় বই কোরআন ও হাদিস পড়তে পারেন। আপনার মনোযোগ টা ধর্মীয় কাজের মধ্যে থাকবে তার সাথে মানসিক চাপ কমে আসবে।
মানসিক চাপ কমানোর ইসলামিক উপায়
বর্তমান সময় মানসিক চাপ থাকে না এমন মানুষ নাই। মানুষের চাপ এখন মানুষের দৈনন্দ জীবনের একটা অংশ হয়ে রয়েছে। মানুষ নানা কারণে মানসিক চাপের পড়ে থাকে। পারিবারিক , রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত, সামাজিক এবং বিভিন্ন রকম কর্ম ক্ষেত্রে, বন্ধু বান্ধবীদের সাথে সম্পর্কে অনেক রকম সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আবার অনেকের অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে ও মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়ে থাকে। মানসিক চাপ থাকলে নানা রকম রোগ সৃষ্টি হয়। তাই এ মানসিক চাপ দূর করা প্রয়োজন। এমন কিছু অভ্যাস পরিণত করতে হবে যেগুলো স্বাস্থ্যের জন্য ভালো এবং মানসিক চাপ দূর করা যাবে। সে ক্ষেত্রে হতে পারে আপনার ধর্মীয় কাজগুলো।
নিজ নিজ ধর্ম কাজগুলো পালন করলে মানসিক চাপ দূর হয়। ইসলাম ধর্মের অনুযায়ী যদি আপনি আপনার ধর্ম পালন করে থাকেন তাহলে মানুষের চাপ দূর করতে পারবেন। ইসলামিক দিক দিয়ে পাঁচটি পরামর্শ রয়েছে যার কারণে মানসিক সমস্যা দূর করতে পারবেন।
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করা
বেশি বেশি দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তা'আলা বান্দার প্রতি রহমত বর্ষণ করেন। সে কারণে মানুষ যাবতীয় মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাই। এটি আত্ম অশান্তি লাভের একটি উপায় হিসেবেও ধরে নেয়া যায়। রাসূল (সা:)এর উপরে দরুদ পাঠ করলে আল্লাহ তা কবুল করেন।
পরকালের কথা স্মরণ করে
বড়কালের কঠিন পরিস্থিতির কথা যদি মানুষ স্মরণ করতে থাকে তাহলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কারণ এতে বোঝা যায় যে জীবন যাপন অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে স্বাভাবিকভাবে এতে কোন লোভ-লালসা থাকবে না মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা দূর হবে। মানুষ এমন কোন কাজ করবে না যা পরকালে তার শাস্তি ভোগ করতে হয়। তাই পরকালের কথা স্মরণ করলে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন।
দোয়া করা
দোয়া করে মানুষের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কারণ একটি হাদিসে এসেছে ইবাদতের মূল কথা হচ্ছে দোয়া। দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন না করলে অসন্তুষ্টি হন। দোয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে হাদিস অনুযায়ী দোয়া করা উচিত। দৈনন্দিন জীবনে যে সমস্যাগুলো রয়েছে থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য হাদিস অনুযায়ী আপনাদের দোয়া করলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন ।
নিয়মিত কোরআন তেলোয়াত করে
দৈনন্দিন জীবনে মানুষের মানসিক চাপ রয়েছে। এখন প্রতিটা মানুষেরই মানসিক চাপ থাকে তাই আপনারা নিজেকে প্রফুল্ল করে তোলার জন্য কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন। কোরআন তেলোয়াত আপনার মনের প্রফুল্লতা এবং মানসিক প্রশান্তি এনে দিবে। তাই বেশি বেশি করে কোরআন শরীফ তেলাওয়াত করে নিজের দুশ্চিন্তা ও হতাশা মুক্ত করা চেষ্টা করুন।
নামাজে যত্নবান হয়ে
মানুষের জীবনে বিপদ আপদ আসে। এ বিপদ আপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য নামাজ একটি প্রশান্তির মাধ্যম। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া মুসলমানদের ফরজ। নামাজে গুরুত্ব দিন এবং যত্ন সহকারে নামাজ আদায় করুন।
আরো পড়ুন:থ্যালাসেমিয়া কি কেন হয় লক্ষন ও প্রতিরোধে করনীয়
আল্লাহ তা'আলা বলেন‘ তোমরা নামাজ ও ধৈর্যের মাধ্যমে আমার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করো। তা যথেষ্ট কঠিন। কিন্তু বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব।( সুরা বাকারা:৪৫)।
আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করা
আল্লাহর প্রতি তাওয়াক্কুল করা মানসিক চাপ মুক্তির একটি উপায়। হাদিসে এসেছে রাসুল্লুল্লাহ (স:) বলেছেন যে, আল্লাহতালা ঘোষনা করেন, আমি সেই রকম বান্দা আমাকে যেরকম ধারণা করে,। (বুখারী)
আল্লাহর প্রতি য়া তাওয়াক্কুল করা প্রয়োজন কারণ এতে চিন্তা মুক্ত হয় এবং মানসিক চাপ দূর হয়।
লেখকের শেষ কথা
মানসিক চাপ ব্যক্তির জীবনে বিভিন্ন রকম সমস্যা সৃষ্টি করে। যেমন স্বাস্থ্য, আর্থিক সমস্যা, কর্মজীবন, সম্পর্ক, ইত্যাদিতে ভীষণভাবে খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের উপায় জেনে সেই নিয়মে চলে আপনাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং জীবনের সুখ তৈরি করতে পারেন। তবে আপনাদের যদি মানসিক চাপ বেশি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই একটা ভালো মানসিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গিয়ে যোগাযোগ করা উচিত।
আরো পড়ুন:মহরম মাসের ফজিলত সম্পর্কে জানুন
আশা করি আপনারা খুব মনোযোগ সহকারে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের ১০ টি উপায় জানুন তথ্যগুলো সঠিকভাবে করেছেন। এবং আপনারা জানতে পেরেছেন মানসিক চাপ কি এবং তার লক্ষণ সম্পর্কে। আপনারা আপনাদের আত্মীয় স্বজন বন্ধু-বান্ধব এবং অন্যান্যদের সাথে আমার এই আর্টিকেলটি শেয়ার করুন। এবং কমেন্ট করুন। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url