গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমারে আর্টিকেল। অ্যাপ এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিং কাজের বিভিন্ন রকম সেক্টর বা বিভাগ রয়েছে। এরমধ্যে গ্রাফিক্স ডিজাইন ও একটি বিভাগ। এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ও অনেক টাকা ইনকাম করা যায়।
আপনারা মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলটি পড়বেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা এর মাধ্যমে জানতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি কাজ করা যায়। এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব কতটুকু।আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে না টেনে পড়বেন।
ভূমিকা
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা করলেই জানতে পারবেন কি কি কাজ করতে হবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনারদের সফটওয়্যার এর ধারণা থাকতে হবে। যেগুলো গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কি
গ্রাফিক্স অর্থ চিত্র এবং ডিজাইন অর্থ নকশা। অতএব গ্রাফিক্স ডিজাইন বলতে বোঝায় চিত্রের মাধ্যমে নকশা তৈরির প্রক্রিয়া। যা সুন্দর একটি চিত্রে প্রদর্শন হয়। ড্রয়িং, অক্ষর, ইমেজের মাধ্যমে বিভিন্ন রকম চিত্র নকশা করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন। বিভিন্ন রকম সুনির্দিষ্ট চিন্তার মাধ্যমে একটি চিত্রকে সং গঠন করে তোলার নামই হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন।বিভিন্ন রকম পোস্টার, ব্যানার, ম্যাগাজিন, পেপার, ইত্যাদি বিজ্ঞাপন করার জন্য চিত্রের মাধ্যমে নকশা তৈরি করা হয় তাকেই বলা হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন।ডিজাইন।গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে মনের ইচ্ছামত বিভিন্ন রকম নকশা তৈরি করা হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি
গ্রাফিক ডিজাইন করার জন্য কিছু সফটওয়্যার রয়েছে। যেগুলো খুবই জনপ্রিয়।জনের জন্য যে জনপ্রিয় সফটওয়্যার গুলো রয়েছে সেগুলোর নাম হলো
- Adobe Illustrator
- Adobe Photoshop
- Adobe XD
- Adobe InDesign
- Adobe Fresco
- Canva
- Procreate
- CorelDraw Graphics Suite
মার্কেটপ্লেসে উপরোক্ত সফটওয়্যার গুলো পাওয়া যায়। এছাড়াও আরো কিছু সফটওয়্যার পাওয়া যায়। কিন্তু আর্টিকেলের যে সফটওয়্যার গুলোর নাম দেয়া আছে এগুলো সবচেয়ে জনপ্রিয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার জন্য অনলাইনে বিভিন্ন রকম কোর্স পাওয়া যায়। তার মধ্যে লিস্টে এখান থেকে দেখে ওয়েবসাইট কিনে আপনারা কাজ করতে পারেন।
ব্র্যান্ড আইডেন্টি ডিজাইন
ব্রান্ডের লোগো ডিজাইন, ট্রাইপোগ্রাফি, কালার স্কিন সহ যেকোন ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ডিং এর জন্য কাজ করা হয়। ব্র্যান্ডের বিভিন্ন রকম ব্র্যান্ডিং আইডিয়া দিয়ে কাজ করা হয়।
প্রিন্ট ডিজাইন
পোস্টার ডিজাইন, ম্যাগাজিন, নিউজ পেপার, ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ইত্যাদি করা হয়।
ওয়েব ডিজাইন
ওয়েব ডিজাইন এ ওয়েবসাইটের ব্যানার, ইমেল নিউ জল লেটার, সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টের ছবিগুলো সুন্দরভাবে ডিজাইন করা হয়।
প্যাকেজিং ডিজাইন
ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন পণ্য এবং প্রসাধনের পণ্যগুলো জন্য প্যাকেজিং ডিজাইন করা হয়।
মোসনগ্রাফি
মোসন গ্রাফিতে ডিজাইন এনিমেটেড গ্রাফিক্স, ভাইরাল এফেক্টেড ভিডিও এবং ফিল্ম, ডিজিটাল প্লাটফর্ম ইত্যাদি করা হয়।
ইলাস্ট্রেশন
বিজ্ঞাপন বা আর্টওয়ার্ক তৈরির জন্য ছবির সাথে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা হয়।
বই ডিজাইন
বইয়ের কভারের ডিজাইন, লেয়াউট, প্রিন্ট এবং ডিজিটাল মাধ্যম করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়া ডিজাইন
গ্রাফিক্স ডিজাইন এবং মেসেজ এবং বিভিন্ন রকমের অডিশন এবং ভাইরাল করার জন্য বিভিন্ন রকম প্লাটফর্মের এঙ্গেস অডিশন করা হয়।
থ্রিডি ডিজাইন
প্রোডাক্ট ডিজাইন, গেমিং, অ্যানিমেশন, ইত্যাদি রকম ডিজাইন থ্রিডি মাধ্যমে করা হয়।
ট্রাইপোগ্রাফি ডিজাইন
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের জন্য কাস্টম ফ্রন্ট লেটারিং বিভিন্ন রকম লেআউট ডিজাইন করা হয়।
আইকন ডিজাইন
আইকনের বিভিন্ন রকম ডিজাইন এবং ব্র্যান্ডিং করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
আরো পড়ুন:কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন
তাছাড়া আর্ট ডাইরেকশন, ডিজাইন, ইন্ট্রাক্টিভ ডিজাইন, ইনভাইরোন মেন্টাল ডিজাইন ইত্যাদি করা হয়ে থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন এ উপরোক্ত কাজগুলো করা হয়ে থাকে। যতদিন যায় তত প্রতিটা জিনিসেরই আপডেট দেখা দেয়। অতঃপর গ্রাফিক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রেও দিন দিন আপডেট হয়ে থাকে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার
কয়েক ধরনের গ্রাফিক্স ডিজাইন হয়ে থাকে।
- প্যাকেজিং গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন
- আর্ট এবং ইলাস্ট্রেশন ডিজাইন
- মার্কেটিং এবং বিজ্ঞাপন গ্রাফিক্স ডিজাইন
- প্রকাশনা গ্রাফিক্স ডিজাইন
- পরিবেশ কত গ্রাফিক্স ডিজাইন
অনেক রকম গ্রাফিক্স ডিজাইন রয়েছে তার মধ্যে দুটি প্রধান হচ্ছে
- প্রিন্ট মিডিয়া ও
- ওয়েব মিডিয়া
- যে সকল গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য প্রিন্ট করা হয় সেগুলোকে প্রিন্ট মিডিয়া বলা হয়ে থাকে। যেমন বিজনেস কার্ড,ব্যানার ,আইডি কার্ড,বুক কভার ইত্যাদি।
- ডিজাইন করার জন্য প্রিন্ট দরকার হয় না সেগুলোকে ওয়েবমিডিয়া বলে। থাকে এগুলো শুধু ওয়েব ডিজাইনের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন facebook cover photo, profile photo, web টেম্পল ইত্যাদি।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব দিন দিন বেড়েই চলেছে। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করা, ইমেজ ব্যানার, বিভিন্ন ব্যানারে লেখা বসানো, ছবি ছোট বড় করা অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। যার কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইনের গুরুত্ব অপরিসীম বলা হয়ে থাকে। দিন দিন গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা বেড়েই চলেছে।
আরো পড়ুন:ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে
প্রতিটা ক্ষেত্রেই আমাদের গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রয়োজন।বিভিন্ন বিজ্ঞাপন, বাজারজাতকরণ পণ্যের কাজের জন্য গ্রাফিক্স ডিজাইনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া ইমেজ, লোগো, নিউজ লেটার নিয়ে কাজ করে থাকে। অনেকেই এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে ইনকামের পথ বেছে নিচ্ছে। এইসব কারণেই গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা বেড়ে গিয়েছে।সেক্ষেত্রে চাহিদা এবং কাজের ধরণের উপর ভিত্তি করে গ্রাফিক্স ডিজাইন কে দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা
- প্রকৌশলী ডিজাইন
- কম্পিউটার গ্রাফিক্স
- প্রকৌশলী ডিজাইন হল নিজের হাতে রং ব্যবহার করে দেয়ালে বা কাগজে ছবি আঁকা।
- কম্পিউটার গ্রাফিক্স হলো বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইনগুলো করা এবং বর্তমান যুগ অনুযায়ী যে ডিজাইন প্রয়োজন হবে সেটাই রূপ দেয়া।। কম্পিউটার গ্রাফিক্সকে আবার দুইভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। যথা
- স্টিলইমেজ গ্রাফিক্স
- মোশান গ্রাফিক্স
- স্টিল ইমেজ গ্রাফিক্স গুলো থেমে থাকা ছবিকে বুঝানো হয়। যে ছবিগুলো নড়াচড়া করতে পারে না এবং কাগজের উপরে প্রিন্ট করা হয় সেগুলোকে বলা হয়। যেমন পোস্টার, ব্যানার, লোগো, ইত্যাদি।
- মোশান গ্রাফিক্স হল সেই ছবিগুলোকে বোঝায় যেগুলো নড়াচড়া করে ভিডিওতে যেন নাড়াচাড়া করতে পারে সেগুলোকে বলা হয়। যেমন এনিমেশন ভিডিও।
মোশন গ্রাফি আবার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা
- ভিডিও গ্রাফিক্স
- অ্যানিমেশন গ্রাফিক্স
বর্তমান সময়ে মানুষ গ্রাফিক্স ডিজাইন করে অর্থ উপার্জন করা শুরু করে দিয়েছে। বিভিন্ন রকম অ্যানিমেশন গ্রাফিক্সের কাজ করে অর্থ উপার্জন করছে।বর্তমানে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও মার্কেটপ্লেস এ কাজ করে খুব ভালো পরিমাণ ইনকাম করে থাকে। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য অবশ্যই আপনার ল্যাপটপ বা কম্পিউটার থাকা দরকার।
এবং যেসব সফটওয়্যার গ্রাফিক্স ডিজাইন এর জন্য প্রয়োজন সেগুলো সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন। ধৈর্যশীল হতে হবে এবং যে বিষয়ে আপনি কাজ করবেন সে বিষয়ে অবশ্যই অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তা না হলে আপনার জন্য কাজটা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। রং আকার আকৃতি নিয়েও অনেকটা ধৈর্যশীল মনোভাব ধরতে হবে যেন সঠিক রং আকার আকৃতি নিয়ে কাজ করা যায়।
লেখক এর শেষ কথা
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ গুলো কি কি বিস্তারিত আলোচনা করে আপনারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। কারণ বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের গুরুত্ব অনেক। তবে আপনারা যদি মনে করেন এখন এ কাজটা শিখে এখনই ইনকাম শুরু করবেন তা কিন্তু নয়। বিভিন্ন সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে এবং ধৈর্যশীল হতে হবে।
আরো পড়ুন:শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে আমার আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করুন। এবং আরো নতুন নতুন আর্টিকেল পড়ার জন্য আমার ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url