ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭ কি উপায়ে সে সম্পর্কে আপনারা কি জানতে চান?মাইক্রোস্টকে ছবি বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে কি জানতে চান? তাহলে উনার জন্য এই আর্টিকেলটি আমি লিখেছি যেটা থেকে আপনারা সহজে বুঝতে পারবেন কিভাবে ঘরে বসে প্যাসেভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এবং সহজে আপনারা কাজ করতে পারবেন।

আপনাদের জন্য ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে আর্টিকেলটিতে আলোচনা করেছি। আপনারা যেন সহজেই ইনকাম করতে পারেন। কিন্তু প্রথম দিকে অবশ্যই আপনাকে কাজ করতে হবে কাজ না করলে কোন কিছুতেই ইনকাম করা সহজ নয়। যেকোনো কাজ করার আগে অবশ্যই সে কাজ সম্পর্কে আপনার ধারণা থাকতে হবে। তাহলে আপনি ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন৭টি উপায়ে এর যে কোন একটি বেছে নিতে পারেন। আপনারা আর্টিকেলটি না টেনের সম্পন্ন মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে আপনারা জানতে পারবেন ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে সে সম্পর্কে।

ঘরে বসে প্যাসিভইনকাম করুন ৭ টি উপায়ে সম্পর্কে আর্টিকেলটি লিখা হয়েছে। আপনি বিভিন্ন ব্লগিং করে ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব চ্যানেল থাকলে আপনি বিভিন্ন রকম ভাবে কাজ করে ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন রকম মার্কেটপ্লেস রয়েছে আপনি যদি ভাল মানের একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন। 

তবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করেও মার্কেটপ্লেস থেকে ভালো পরিমাণের প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। তাই আপনারা ঘরে বসে ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে কাজ করবেন। কারণ কোন কাজটা জন্য আপনি পারদর্শী সেই কাজটাই আপনি করবেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি সফল্য অর্জন করতে পারবেন।

প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে এমন একটি ইনকাম যেটা একবার কাজ করে আর কাজ করতে হয় না সেখান থেকেই টাকা আসতে থাকে। যেমন আপনি যদি একজন ভালো গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে একটি ডিজাইন তৈরি করে মাইক্রো স্টক সাইডে আপলোড করেন। তবে সেখান থেকে আপনার সেই ডিজাইনটি যতজন ডাউনলোড করবে তত পরিমাণ টাকা আপনার একাউন্টে জমা হতে থাকবে। 

অতঃপর এটা বোঝা যায় যে আপনি একটি কাজ একবার করে পরবর্তীতে তার সে কাজটি নাও করতে হতে পারে কারণ সেখান থেকে আপনার টাকা ইনকাম হচ্ছে। এটি হচ্ছে এক ধরনের প্যাসিভ ইনকাম। অনেক রকম প্যাসিভ ইনকাম আছে আপনি যেই কাজে এক্সপার্ট সেই কাজটা করে প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

একটিভ ইনকাম হচ্ছে এমন একটি ইনকাম পদ্ধতি যেখান থেকে আপনি কাজ করলে টাকা পাবেন। আর যদি আপনি কোন কাজ না করেন তাহলে আপনি সেখান থেকে কোন টাকা পাবেন না। যেমন একজন রাইটার যতক্ষণ পর্যন্ত কাজ করবে ততক্ষণ পর্যন্ত সে টাকা পাবে। যখন সে কাজ বন্ধ করে দিবে তখন কিন্তু সে আর কোন টাকা পাবে না।

সুতরাং বোঝা যায় যে যে কাজটি করতে হয় তার বিনিময়ে আমরা টাকা পাই। আর কাজটা করা বন্ধ করে দিলে সেখান থেকে আর কোন টাকা আসে না।অনলাইনেও কিছু প্যাসিভ ইনকাম রয়েছে আবার অফলাইনেও কিছু প্যাসিভ ইনকাম রয়েছে। আপনারা আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।

যদি মনে করেন যে অনলাইনে প্যাসিভ ইনকাম আপনাদের জন্য সুবিধা হচ্ছে তাহলে আপনারা ইনকামের এই পথটা বেছে নিতে পারেন। আবার যদি মনে হয় আপনাদের অফলাইনে প্যাসিভ ইনকাম করা সহজ তবে এ পদ্ধতির টা বেছে নিতে পারেন।

মাইক্রোস্টকে ছবি বিক্রি করে প্যাসিভ ইনকাম করা যায়। অনেকেই শখের বসে বিভিন্ন রকম পছন্দ অনুযায়ী ছবি তুলে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যেয়ে বিভিন্ন সুন্দর জায়গার ছবি তুলে। যদি এই ছবিগুলো বিক্রি করে আপনি ভালো পরিমানের টাকা আয় করতে পারেন তাহলে ব্যাপারটা অনেক আনন্দদায়ক দাড়ায়।

যে আমি তো ছবি বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারলাম। বিভিন্ন মাইক্রোস্টপ সাইটে ছবিগুলো বিক্রি করতে পারেন। এইজন্য আপনাকে প্রথমে যে ছবিটি বিক্রি করতে চান সেটা সিলেক্ট করে মাইক্রোস স্টক সাইটে আপলোড করতে হবে। এরপর যতজন ছবিটি ডাউনলোড করবে সেখান থেকে আপনি একটি পরিমাণ টাকা পেয়ে যাবেন।

মাইক্রোস্টক সাইট গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে istockphoto,Adobe Stock,Shutter Stock,Freepik,Vecteezy ইত্যাদি। এই সাইটগুলোর মধ্যে যে কোন একটি সাইটে একাউন্ট তৈরি করে ছবি বিক্রি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে বা কোন ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড ব্যবহার করে টাকা তুলে নিতে পারবেন।

আপনার যদি কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকে তবে সেটার উপর কোর্স বানিয়ে বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং বিষয়ে ভালো দক্ষ হন তাহলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি কোর্স বানিয়ে নিতে পারেন। এরপর এই কোর্সটি বিক্রির জন্য সাইটে আপলোড করে দিন। এখন সেখান থেকে যতজন কোর্স টি কিনবে আপনার টাকা ইনকাম হবে। কারণ কোর্স টি কিনতে অবশ্যই টাকা দিবে। এভাবেও আপনি ইনকাম করতে পারেন।

অনেকেই বই লিখতে পছন্দ করেন। আপনার যদি লেখালেখিতে দক্ষতা থাকে তাহলে এটি কে বানিয়ে নিতে পারেন আপনার জন্য প্যাসিভ ইনকাম। বই প্রকাশ বিষয়টি সম্পূর্ণ আলাদা বিষয়।আপনার চিন্তার কোন কারণ নাই যে লেখা বইটা নিয়ে আপনাকে প্রকাশ করার জন্য ঘুরতে হবে।

এখানে অনেক বড় একটা সুবিধা আছে আপনার বই প্রকাশ করার বিষয়টি আমাজন সহজ করে দিয়েছে। আপনি যে বইটালিখেছেন সেটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে ফর মিটিং করে বইটি amazon kindle এ আপলোড করে দিন। এরপর আপনাকে আর কোন কাজ করতে হবে না সেটি করবে amazon kindle । 

তারপর এই বইটি বিভিন্ন জায়গায় মার্কেটিং করতে হবে যেমন ধরেন টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, facebook youtube ইত্যাদি। এখন আপনার লেখা বইটি যত জন কিনবে আপনি সেভাবে টাকা পেতে থাকবেন। বই পাবলিস্ট করার জন্য জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর মধ্যে হচ্ছে Amazon Kindle ,Lulu,IngramSpark,Barnes& Noble Press,Smashwordsইত্যাদি। বই লিখেও আপনি ইনকাম করতে পারেন।

এক্ষেত্রে আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করলেন তারপর সেটিতে কয়েক মাস সময় দিলেন। শুধু সময় দিলে হবে না সেখানে কিছু কাজ করতে হবে। ওয়েবসাইটটা যে উদ্দেশ্যে তৈরি করেছেন সেই কাজটাই করতে হবে। যেমন ধরেন আপনি যদি আর্টিকেল লিখার জন্য তৈরি করে থাকেন তাহলে ওয়েবসাইটে আপনাকে প্রতিনিয়ত আর্টিকেল লিখতে হবে এবং ভিজিটর আনতে হবে। 

ভিজিটর আনার জন্য আপনাকে কয়েক মাস সময় দিতে হবে। আপনি ভিজিটর আনার পরে যখন ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে তখন ওয়েবসাইটটি বিক্রি করে দিতে পারেন। তাতে আপনার অনেক টাকা আয় হবে। আবার যদি মনে করেন আপনি ওয়েবসাইট টা রাখবেন তাহলে কাজ করে প্রতি মাসে একটি এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন। এটিও একটি প্যাসিভ ইনকাম

প্যাসিভ ইনকাম করার এটি একটি আরেকটি ভালো উপায়। ইউটিউব থেকেও অনেকেই ইনকাম করে থাকে। আপনি যদি ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে ভালো মানের ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে পাবলিশ করতে পারেন। এতে করে আপনার ব্র্যান্ড ভ্যালু তৈরি হবে।

তখন আপনি বিভিন্ন মার্কেটিং স্পন্সর প্রডাক্ট প্রমোশন ও অন্যান্য ব্র্যান্ড প্রমোশন সহ বিভিন্ন কাজ করে প্রেসিডেন্ট ইনকাম করতে পারেন। আপনি ইউটিউব ভিডিও আপলোড দিয়ার সময় ডেসক্রিপশনে এলিফ এফিলিয়েট পণ্যের লিঙ্ক করে দিলে সেখান থেকে আপনার পণ্য বিক্রি হলে কমিশন পাবেন। এটি একটি প্যাসিভ ইনকাম।

ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম যেটাকে বিভিন্ন রকম পণ্য সেবা বা প্রতিষ্ঠান প্রচার করে অন্যদেরকে মোটিভেট করতে পারা।এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম যেটা থেকে অনেক ভালো পরিমাণে ইনকাম করা যায়। ডিজিটাল প্লাটফর্ম গুলোর মধ্যে যারা ইউটিউব বা ব্লগিংয়ের কাজ করে থাকে তারা অনেক মানুষের কাছে পরিচিতি পায়। 

তাদের ফ্যান ফলোয়ার্স অনেক বেশি থাকে সে কারণে তারাই সাধারণত ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং হিসেবে কাজ করতে পারে। এই প্লাটফর্মে কাজ করলে প্রতিমাসে অন্তত ২০-৩০ হাজার টাকা ইনকাম করতে পারা যায়। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বিজ্ঞপ্তি দেয়ার জন্য এখানে নিয়োগ দিয়ে থাকে। তখন অনেকেই এই কাজটি করে এভাবে ইনকাম করতে পারে।

অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করতে পছন্দ করেন। এই লেখালেখিটা যদি অনলাইনে করা যায় তবে একটি ইনকামের সাইট পাওয়া যাবে। পত্রপত্রিকা বা বিভিন্ন বই ছাপা সেক্ষেত্রে নয় এটি। একটি ওয়েবসাইটে লেখালেখির বিষয়। লেখালেখি করে যে শুধু ওয়েবসাইটেই ইনকাম করা যায় তা নয়। ওয়েবসাইটে ইনকাম করতে গেলে সেখানে এডসেন্স পেতে হয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং, স্পন্সর প্রডাক্ট প্রমোশন ও ব্র্যান্ড প্রমোশন ইত্যাদি মাধ্যমে ইনকাম করা যায়।

যদি আপনি যেকোনো একটি বিষয়ে ওয়েবসাইটে লেখালেখি করলেন। সেই আর্টিকেলটি মাঝে বাশেষে একটা লিঙ্ক করে দিলেন যে যে সম্পর্কে লিখেছেন সে সম্পর্ক অনুযায়ী। তাহলে অনেকেই আপনার ওয়েবসাইট পড়তে আসবে সেই আর্টিকেলটি যদি কারো পছন্দ হয় তবে লিংকে গিয়ে সার্ভিসটি যদি কেনে তাহলে সেখান থেকে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এভাবেও প্যাসিভ ইনকাম করা যায়।

আর্টিকেলটি পড়ে এটাই বোঝা যায় যে ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এভাবেও ইনকাম করা সম্ভব। ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে এই আর্টিকেলে আমি ৭টি উপায় আপনাদেরকে দেখিয়েছি কিন্তু আরো অনেক উপায় করা যায়। প্যাসিভ ইনকাম করতে আপনাদের বাইরে যেতে হবে না ঘরে বসেই কাজটি করতে পারবেন। আপনার কম্পিউটার মোবাইল ইত্যাদির মাধ্যমে। বিভিন্ন রকম মার্কেট বিভিন্ন রকম ভাবে কাজ করা করে ইনকাম করা সম্ভব। তবে আপনাকে অবশ্যই সে কাজগুলো জানতে হবে।

আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারা উপকৃত হয়েছেন। আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করুন। বিভিন্ন বিষয়ে আর্টিকেল করার জন্য আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।