পোষা পাখির নামের লিস্ট পড়ুন
পোষা পাখি নামের লিস্ট পড়ুন সম্পর্কে অনেকেই জানেনা তাই আমি আজকে আমার এই পোস্টে পোষা পাখি নামের লিস্ট সম্পর্কে আলোচনা করব। তার সাথে গোল্ডেন ফিজ্যান্টে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখির নাম কি সেগুলো বিষয়ক আলোচনা করব। আমরা অনেকেই পাখি পোস্টে খুব ভালোবাসি। শুধু বিদেশি পাখিই নয় দেশী পাখিও ভালবাসে।
আরো পড়ুন:পাবদা মাছের শারীরিক বৈশিষ্ট্য
বাংলাদেশে এখন বিদেশি পাখিও পাওয়া যায়। পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর অনেকগুলো পাখির নাম রয়েছে। যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। আমাদের দেশে যে পাখিগুলো রয়েছে তার মধ্যে অনেকেই আমরা পাখির নাম বলতে পারি না। এগুলো পাখি সেটা জানি কিন্তু পাখিটা দেখে নামটা ঠিক বলতে পারি না যে এটা কি পাখি।
ভূমিকা
পাখি ভালোবাসে না এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আমরা অনেকেই ঘরে বসে পাখি বুঝতে ভালোবাসি। অনেকেই আবার পাখি পোষা ব্যবসা হিসেবেও কাজ করছে। পোষা পাখি নামের লিস্ট তাই অনেকেরই জানা দরকার। পাখি বসে অনেকের সময়টা ব্যয় করা যায় কারণ পাখি বিনোদন দিতে পারে। যেমন টিয়া, ময়না, কাকাতুয়া, আরো অনেক পাখি আছে যেগুলো কথা বলতে পারে।
আরো পড়ুন:তেলাপিয়া মাছ চাষে লাভ কেমন
এ পাখিগুলো বিনোদনের জন্য খুবই ভালো। আমাদের দেশের জাতীয় পাখি দোয়েল। এ পাখিটি সাধারণত গ্রাম গঞ্জের শহরেও দেখা যায়। পৃথিবীতে অনেক সুন্দর সুন্দর পাখি রয়েছে যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়। আমার এই পোস্টে আমি পোষা পাখির নামের লিস্ট সম্পর্কে বলেছি যেগুলো পড়ে আপনারা বাড়িতে পাখি পোষতে পারবেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখির নাম কি
পৃথিবীতে পাখি পছন্দ করে না এরকম মানুষ খুব কমই রয়েছে। পাখির রূপে মুগ্ধ সবাই দেশে এবং বিদেশে যেখানেই যায় না কেন পাখির বিভিন্ন রকমের সৌন্দর্য দেখা যায়। পৃথিবীতে প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। প্রতিটা পাখির নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এক একটা পাখির বৈশিষ্ট্য এক এক রকম হয়ে থাকে। আমার এই আর্টিকেলে আজ আমি ৫টি পাখি সম্পর্কে এখানে লিখব যে পাখিগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর। তাহলে চলুন দেরি না করে আমরা পাখিগুলোর নাম গুলো জেনে নি এবং সে পাখিগুলো সম্পর্কেও কিছু জেনে নি।
গোল্ডেন ফিজ্যান্টে (Golden Pheasant)
এই পাখিগুলো দেখতে অনেকটা আকর্ষণীয়।উজ্জ্বল রঙ্গিন পাখা এবং দেখতে এ কারণে অনেক সুন্দর এজন্য এ পাখিগুলো বেশ বিখ্যাত। এ পাখিগুলোর মাথায় ঝুটিও রয়েছে এগুলো দেখতে হলুদ রঙ্গিন গোলাপি রঙ্গের হয়ে থাকে। গায়ের রং লাল, কমলা, নীল, কালো, ও সোনালী রঙের সহ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। কালো পালক গুলো দেখতে চকচকে ধুশে ওর রং এর। স্ত্রী পাখির চেয়ে পুরুষ পাখি গুলো দেখতে বেশি রঙ্গিন হয় যা দেখলে সহজেই বোঝা যায় এগুলো পুরুষ পাখি।এ পাখিগুলো প্রায় ৯০-১০৬ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।একটি স্ত্রী গোল্ডেন ফিজ্যান্ট ৪০টি পর্যন্ত ডিম দেয়।
ফ্লাম্যাংগো(Flamango)
এই পাখিগুলো পৃথিবীতে ছয়টি ভিন্ন প্রজাতির রয়েছে।যাদেরকে আন্টার্টিকা মহাদেশ ছাড়া প্রত্যেকটি মহাদেশেও পাওয়া যায়। এ পাখিগুলো দেখতে অনেক সুন্দর অসাধারণ লাল বেগুনি পাকনা বিশেষ। এদের হাটা অন্যতম। এরা একটি পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় দৈর্ঘ্য ৪-৫ ফুট এবং ওজন ৩.৫ কেজি। এদের খাদ্য হিসেবে থাকে লার্ভা ও প্লাংটন জাতীয় খাবার।
ব্লজে (Blue Jay)
এইপাশেটি পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর ও বুদ্ধিমান একটি পাখি। বেশিরভাগ দেখতে পাওয়া যায় মধ্যম আমেরিকার বনগুলোতে এবং উত্তর ও পূর্ব এলাকার মধ্যে বনগুলোতে। এদের পাখনা গুলো নীল ও সাদা রঙের। এ জাতের পাখিগুলো অন্য পাখিগুলোর শোরগোল নকল করতে পারে তাই এই পাখিগুলোকে বলা হয় গায়ক পাখি। এই পাখিগুলো অন্য পাখিদের বোকা বানাতে পারে কারণ ওরা শব্দ নকল করতে পারে। অন্য পাখির ডিম ও বাসা চুরি করতে বেশ পটু হিসেবে বিখ্যাত।
স্কারলেট ম্যাকাও
এই প্রজাতির পাখিগুলো বৃহত্তম ও সুন্দরতম হয়ে থাকে। অনেকক্ষণ দীর্ঘ সময় ধরে উঠতে পারে এবং বাঁকা ঠোঁট বিশিষ্ট শক্তিশালী হয়ে থাকে। পাখি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর এদের উজ্জ্বল লাল, নীল ও হলুদ রঙের মোহনীয় রূপ সবাইকে মুগ্ধ করে দেয়। মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার বাসিন্দা বলে জানা যায়।
ময়ূর
ময়ূর অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় একটি অন্যতম পাখি। ময়ূরকে বর্ষার রানী ও বলা হয়ে থাকে। ময়ূর পেখম মেলে নাচতে পারে। এ নাচ অনেক আকর্ষণীয়। যখন পেখম মেলে নাচে তখন দেখতে অত্যন্ত সুন্দর লাগে।মাকে সব জায়গাতেই দেখা যায় বলে সর্বভুক পাখিও বলা হয়। এরা ডিম পাড়ে ডিম ফুটে বাচ্চা হয় এবং ময়ূর একটি বন্য পাখি। ময়ূর গাছে বিশ্রাম নেই ঠিকই তবে গর্তে বাস করে। ময়ূর এশিয়া মহাদেশের সর্বত্রই দেখা যায় কিন্তু ক্রমান্বয়ে ময়ূরের সংখ্যা কমে গেছে।
আরো পড়ুন:মাংস উৎপাদনকারী গরুর জাতের নাম
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর পাখি
বাংলাদেশ সবুজ শ্যামল একটি দেশ। এ দেশের আয়তনের অনুযায়ী বন যে পরিমাণ থাকা দরকার তার চাইতে কম পরিমাণ বন রয়েছে প্রায় ১৭ ভাগ বন রয়েছে এবং ক্রমশ এ বন এর সংখ্যা কমতে থাকছে।আমাদের রয়েছে সুন্দরবন।যে বনে অনেক সুন্দর সুন্দর পাখি রয়েছে। তাছাড়া আমাদের চারপাশেও অনেক পাখি আছে যেগুলো দেখতে অনেক সুন্দর। ছোট বড় বিভিন্ন রকমের পাখি রয়েছে বিভিন্ন রঙের। আসুন আমরা কিছু পাখি দের সম্পর্কে জেনে নি।
- মাছরাঙ্গা পাখি
- এই পাখিটি দেখতে অনেকটা ছোট কিন্তু খুব বেশি লাফ দিতে পারে।এ পাখিগুলো আমরা অনেক লোগো ডিজাইনে দেখেছি এবং টেলিভিশনের কোন চ্যানেলের নাম শুনেছি। এই পাখিগুলো দেখতে রঙিন টাইপের। এরা মাছ ধরতে খুব পছন্দ করে। এরা উড়তে উড়তে মাছ ধরে উড়ে নিয়ে চলে যেয়ে গাছের ডালে বসে খাই। এ পাখি নদীর আশেপাশে এবং গ্রামগঞ্জে বেশি দেখা যায় ।
- ময়না পাখি
- বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় পাখিদের মধ্যে ময়না পাখি হচ্ছে একটি অন্যতম। কারণ ময়না পাখি কথা বলতে পারে। নিজে থেকেও যদি কথা না বলতে পারে মানুষ যে কথাটি শিখিয়ে দিবে বা বলবে সেটাই ময়না পাখি বলতে পারে। জঙ্গলে কিংবা নদীর তীরে এদের দেখা যায়। তবে এদের গলার স্বতন্ত্রের সাথে যে শব্দটা করে তাতে মানুষের মতো শোনা যায়। এ পাখিগুলো প্রায় দেখা খুব কম মিলে কারণ এদের ধরে মানুষ বিক্রি করে তাই খাঁচায় বন্দি করে দেয়।
- দোয়েল পাখি
- দোয়েল পাখি হচ্ছে অনেক ছোট একটি পাখি। দোয়েল পাখি বাংলাদেশের জাতীয় পাখি এই পাখিটি আকারে মাঝারি এবং সাদা-কালো মিশ্রণের দেখা যায়। আগে দোয়েল পাখি অনেক দেখা গেলেও এখনকার সময় খুব কম দেখা যায়। গ্রামগঞ্জেই দোয়েল পাখি বেশি দেখা যায়।
- মৌটুসী পাখি
- এ পাখি দেখতে অনেকটা টুনটুনির মত নীল রঙের। গাছপালা যেখানে রয়েছে সেখানেই এই পাখিটা দেখা যায়। এ পাখিটা বাংলাদেশ ছাড়াও অন্যান্য দেশেও দেখা যায় যেমন ভারত মায়ানমার শ্রীলংকা ইত্যাদি দেশেও দেখা যায়। এদের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ সেন্টিমিটারের কম হয়ে থাকে।
- নীল টুনি পাখি
- নেল টুনি বা বেগুনি টুনি নামে এ পাখিকে ডাকা হয়। এ পাখিগুলো মানুষকে বেশি ভালোবাসে কারণ এরা মানুষের কাছাকাছি থাকে। এদের দেহের দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। এ পাখিগুলো বিভিন্ন রকম গাছে বাসা বেঁধে থাকে।
পোষা পাখির নামের লিস্ট
পোষা পাখি বলতে যে পাখি বাসায় পোষা যায়। যে পাখি খাচায় বন্দি করে পোষা যায় মানুষকে বেশি কামড়ায় না সেরকম পাখি পোষা বলা হয়। আবার অনেক পাখি আছে মানুষের সাথে সাথে কথা বলে তাছাড়া অনেকেই আছে অনেক রকম শব্দ করে মানুষকে আনন্দ দিতে পারে। আমাদের দেশে অনেক রকম পোষা পাখি রয়েছে।সৌখিনতাই অনেকেই পাখি বুঝতে পছন্দ করে। কিছু জনপ্রিয় পোষা পাখির নাম নিচে দেয়া হল।
আরো পড়ুন:হিট স্ট্রোক এর লক্ষণ কি কি
- টিয়া পাখি এ পাখিগুলো খুবই বুদ্ধিমান মানুষের সাথে শক্তিশালী একটা ভালো বন্ধন গড়ে তুলতে পারে। তার মালিক যেভাবে কথা বলতে বিনোদন দিবে সেই ভাবে সে কথা বলতেও শিখে এবং বিনোদন দিতে পছন্দ করে। এ পাখিগুলো খেলতে খুব ভালোবাসে।
- কাকাতুয়া টিয়া পাখির মত কাকাতুয়াও খুব বুদ্ধিমান পাখি শক্তিশালী বন্ধন করতে পারে মানুষের সাথে। কাকাতুয়াও বিনোদন যুক্ত একটি পাখি। যা মানুষের সাথে খেলতে খুব ভালোবাসে।
- কবুতর শান্ত পাখি পাখি হিসেবে পরিচিত। খুবই নম্র আচরণের। এদের যত্ন নেয়া খুবই সহজ। কবিতরকে সবসময়ই দলের মধ্যে রাখা হয়। এরা একা থাকতে পছন্দ করেনা।
- ময়না পাখি গুলো টিয়া পাখি ও কাকাতুয়া পাখির মতোই হয়ে থাকে। এরা খুব সহজে মানুষের বন্ধু হয়ে যেতে পারে। মানুষের মতোই কথা বলতে পারে। মানুষ যেটা শিখাবে সেটাই সে সুন্দর করে বলতে পারে এবং এর আওয়াজ শব্দটা এত সুন্দর যে মনে হয় মানুষ কথা বলছে।
এছাড়াও পোষা পাখির লিস্টের মধ্যে যেগুলো রয়েছে সে নামগুলো আমরা জেনে নি
- ফিঞ্চে
- মোরগ
- বুলবুলি
- ময়ূর
- দোয়েল
- কোকিল
- চড়ুই
- শালিক
- ঘুঘু
- বাবুই
- ঈগল
- চিল
- বক
- শকুন
- কাঠঠোকরা
- মাছরাঙ্গা ডাহুক
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আমি আমার এই পোস্টে আজ পাখির সম্পর্কে আপনাদেরকে জানিয়েছি। পোষা পাখি নামের লিস্ট পড়ুন সম্পর্কে আলোচনা করেছি যাতে আপনারা পোষ্টটি পড়ে সহজে পার্টি সম্পর্কে জানতে পারেন। এবং আরও বিদেশি সুন্দর পাখি রয়েছে সেগুলোর নাম জানতে পারেন।
আরো পড়ুন:পান খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
আমার এই পোস্টটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধব আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url