গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয়

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয় সে বিষয়ে জানতে চান?আমার এই পোস্টে আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছে।গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শিখানো হয় সেগুলো ইউটিউবে সার্চ দিয়েও আপনারা শিখতে পারেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান আছে সেখানে কেউ শিখতে পারেন।

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেক চাহিদা রয়েছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সবকিছুই পরিবর্তন হচ্ছে। অনেক আগে থেকে বিভিন্ন রকম ডিজাইন পেন্সিল দিয়ে হাতে আঁকাতে কাগজের উপরে। বর্তমান যুগে কম্পিউটার থাকার কারণে কম্পিউটার দিয়েই বিভিন্ন রকম ডিজাইন করা যায়।তবে বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।

বর্তমানে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদার উপর নির্ভর করে সব কিছুরই পরিবর্তন রয়েছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শিখানো হয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আমরা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারি। কম্পিউটারের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে নিজের মনের মতো করে বিভিন্ন ডিজাইন করতে পারি। বিভিন্ন লোগো অ্যানিমেশন, প্রিন্টিং, ব্র্যান্ডিং, ইত্যাদি কাজ করতে পারি।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে সময় লাগে কারণ এতে অনেকগুলো অধ্যায় রয়েছে। সেগুলো সব সঠিকভাবে শিখার জন্য সময় লেগে যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয় সে সম্পর্কে অনেকেই জানে না। তাই আমার এই পোস্টটি আপনারা অবশ্যই সম্পূর্ণ পড়বেন তাহলে জানতে পারবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয়।

ছোটবেলায় আমরা বিভিন্ন রকম ছবি আঁকতাম। খাতাতে পেন্সিলের মাধ্যমে আসতাম। এখনো অনেক স্কুলে ছবি আঁকা নিয়ম রয়েছে। গাছপালা ফুল, মাছ, ইত্যাদি আজকে অনেক উৎসাহিত শিশুরা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। এখন কম্পিউটারে সাহায্যে অনেক রকম সুন্দর সুন্দর ছবি আঁকা যায়। একজন আর্টিস্ট তার মনের ভাব সুন্দর করে ছবিতে তুলে ধরতে পারে।কম্পিউটারে সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম ছবি আঁকা যায়।

বর্তমানে একজন ডিজাইনার কম্পিউটারে সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করে বিভিন্ন রকম সুন্দর সুন্দর ডিজিটাল চিত্র তুলে ধরতে পারে। কম্পিউটারের সফটওয়্যার ব্যবহার করে যে ইমেজ বা ভিডিও চিত্র করা হয় তাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে। যে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে তার সেই ডিজাইন এর কাজকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপরে ভিত্তি করে এর কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কারণ ব্যক্তিগত ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপরে ডিজাইনকে ভাগ করা হয়েছে। আসুন আমরা সেগুলো জেনে নেই।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখানোর সময় যেকোনো সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম কাজ শিখানো হয়। সে কাজগুলো কি কি শেখানো হয় আমরা দেখিনি।

গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য লোগো ডিজাইন করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।কারণ বিভিন্ন কোম্পানি বা শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে সেগুলোতে একটি লোগোর প্রয়োজন হয়। একটি বিভিন্ন কোম্পানির লোগো বিভিন্ন রকম হয়। একটা কোম্পানি লোগো কখনোই অন্য আরেকটা কোম্পানির সাথে এক হয় না। কারণ লোগো একটি বিশাল ভূমিকা পালন করে যা ব্র্যান্ড মার্ক হিসাবে পরিচিত থাকে। গ্রাফিক ডিজাইনাররা বিভিন্ন রকম লোগো তৈরি করে থাকে।

ব্যক্তিগত লোগো, সাংস্কৃতিক লোগো, কর্পোরেট লোগো, ব্র্যান্ডিং যেকোন লোগো তৈরি করে থাকে। লোগোর একটি প্রতীক থাকে। যেটি দেখে বোঝা যায় যে এটি এই কোম্পানির। লোগো ডিজাইন টা অবশ্যই সুন্দর হতে হবে এবং ব্যান্ডের মত হতে হবে। তাই গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অবশ্যই ভালো দক্ষ হতে হবে লোগো ডিজাইন সম্পর্কে। তাহলে একটি ভালো লোগো তৈরি করতে পারবে যেটা অনায়াসে যে কোন কোম্পানি পছন্দ করতে পারে।

প্রোডাক্ট ডিজাইনার রা একটি পণ্যের কার্যকারিতা ব্যবহার সবকিছু দিকে খেয়াল রেখে কাজ করে থাকে। একটি পণ্যর ধারণা থেকে শুরু করে বাজারজাতকরণ পর্যন্ত ডিজাইন করে থাকে। পন্য কোন যেন আরো আকর্ষণীয় হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই ডিজাইন করে থাকে।আপনি যদি পণ্য নিয়ে কাজ করতে চান তবে আপনাকে প্রথমেই খেয়াল রাখতে হবে যে কোন পণ্য নিয়ে কাজ করবেন এবং সে পণ্যর বাজারে চাহিদা কেমন। তাই প্রোডাক্ট ডিজাইন হওয়ার আগে সে সম্পর্কে জেনে নিন। যে পণ্য নিয়ে কাজ করবেন সেটার বিস্তারিত ধারণা নিয়ে ডিজাইন করে গ্রাহকের কাছে কি পৌঁছানো পর্যন্ত আকর্ষণীয় করে তুলুন যেন আপনার প্রোডাক্টটি গ্রাহকরা পছন্দ করে।

ব্র্যান্ডিং ডিজাইন হচ্ছে একটি শিল্প যা একটি ব্যবসার পণ্যকে ব্র্যান্ড তৈরি করতে বজায় রাখে। ব্রান্ড ডিজাইন হচ্ছে কোন প্রোডাক্টের ট্যাগ লাইন। যে পণ্যের ব্যান্ড বজায় রেখে বাজারজাত করা আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে।

আমরা প্রতিদিন কোন না কোন কারণে ব্রাউজিং করে থাকে। ব্রাউজিং করার সময় অনেক রকম ওয়েবসাইট যাই। ওয়েবসাইট গুলো দেখা যায় বিভিন্ন রকম ভাবে ডিজাইন করা রয়েছে। এক একটা ওয়েবসাইট এক এক রকম ভাবে সুন্দর করে সাজানো থাকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন ওয়েবসাইটের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

গ্রাফিক্স ডিজাইনের মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করা যায়। ওয়েবসাইট সুন্দর হলে ভিজিটর এসে সেটা দেখে হয়তো সে তৈরি করতে পারে। ওয়েবসাইট যেন ভিজিটর কে আকর্ষণীয় করে সেই দিকে লক্ষ্য রেখে কাস্টমাইজ করতে হয়। তাই ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে। অনেকেই ওয়েবসাইটে কাজ করে তাই সে ক্ষেত্রেও গ্রাফিক্স ডিজাইন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এর ক্ষেত্রেও গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করা সম্ভব। বিভিন্ন রকম প্রেটিং করে ফরমেটে রূপান্তর করে সেগুলো প্রেস এ পাঠানোর মাধ্যমে ছাপানো যায়। প্রিন্টিং এর ক্ষেত্রে যে সকল জিনিস প্রিন্ট করা যায় সেগুলোর নাম হচ্ছে

প্রিন্টিং করার ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে। যেমন প্রিন্টিং প্রক্রিয়া, প্রিন্টিং মিডিয়া, প্রিন্টিংয়ের রং, প্রিন্টিং মানের মানদন্ড ইত্যাদি বিষয়ে ভালো ধারণা থাকা দরকার। তাহলে আপনি সুন্দরভাবে প্রিন্টিং এর কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।

পাবলিশিং ডিজাইন গ্রাফিক্স ডিজাইন এর একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পাঠ। পাবলিশিং ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার রয়েছে। সে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন রকম পাবলিশিং ডিজাইন করা যায়। সে সফটওয়্যার এর ধারণা আপনাদের থাকতে হবে। গ্রাহকে চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন রকম আকর্ষণীয় পাবলিশিং ডিজাইন করা হয়।

ফটোশপ, ইনডিজাইন, ইলাস্ট্রেটর ইত্যাদি সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজ করা যায়। যে কাজগুলো করা হয় সেগুলো হচ্ছে বিজ্ঞাপনের ডিজাইন, বইয়ের ডিজাইন, সংবাদপত্রের ডিজাইন, বিভিন্ন ম্যাগাজিনের ডিজাইন ইত্যাদি ।পাবলিশিং ডিজাইন এক ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করে থাকে গ্রাহক চাহিদা এবং আকর্ষণীয় করে তোলে নিজের দক্ষতা দিয়ে।

গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বিভিন্ন রকম অ্যানিমেশন এর কাজ করে অনেকেই অর্থ উপার্জন করতে পারে। অ্যানিমেশন এর বিভিন্ন রকম চিত্রগুলো স্থির থাকে সেগুলোকে একসাথে করে চলাচল এবং নাড়াচড়া করানো হয় গ্রাফিক্স ডিজাইন করেই। বিভিন্ন রকম অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রয়োজন হয়। অ্যানিমেশন এর বিভিন্ন রকম বিজ্ঞাপন শিক্ষা অন্যান্য ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়।

গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কত দিন সময় লাগে তা কোন নির্ধারণ সময় নাই। কারণ আপনি যদি একেবারে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ক্ষেত্রে নতুন হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বেসিক থেকে সব কাজ শিখতে হবে। আপনার কতটুকু আগ্রহ রয়েছে এবং কতটুকু ইচ্ছা শক্তি কতটুকু সময় দিতে পারবেন সেইটার উপর নির্ভর করে সময় নির্ধারণ করা যায়। 

এবং আপনার মেধা কতটুকু সেই সব উপরে নির্ভর করে সময়টা নির্ধারণ করা সম্ভব। তাছাড়া গ্রাফিক্স ডিজাইনের শিখতে কত সময় লাগবে তার কোন নির্ধারিত সময় বলা সম্ভব হয় না। তবে আনুমানিক হিসেবে একটা সময় বের করা যেতে পারে ।গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে আপনি যদি কোন প্রতিষ্ঠানে যান তবে সেখান থেকে চার বছর কোর্স নিলে আপনি ভালো মতো শিখতে পারবেন।

চার বছরে আপনি অবশ্যই হাতে কলমে গ্রাফিক্স ডিজাইনের সম্পূর্ণ অধ্যায় শিখতে পারবেন। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমনও দেখা যায় যে অনেকেই তার আগ্রহ ,সময় এবং ইচ্ছার ওপর নির্ভর করে দুই বছরেও শিখতে পারে। গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখার ক্ষেত্রে সময়ও দিতে হবে তাই এক্ষেত্রে সময়টাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রাফিক্স ডিজাইন কম্পিউটার থাকলে যে করতে পারবে তা কিন্তু নয়। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য কিছু সফটওয়্যার আছে সেগুলো আপনার কম্পিউটারে থাকতে হবে। তাহলে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন সফটওয়্যার এ বিভিন্ন রকম কাজ হয়ে থাকে। এবং সফটওয়্যার গুলোর কাজের নিয়ম ও বিভিন্ন রকম।

তাই গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে ভালো করে ধারণা নিয়ে যেকোনো ডিজাইন নিজের মনের মত করে করতে পারেন। অনেকে অনেক রকম সফটওয়্যার ব্যবহার করে। কারণ গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য বিভিন্ন রকম সফটওয়্যার পাওয়া যায়। আবার অনেক রকম প্রফেশনাল কোর্স ও বিক্রি হয়। অনেকেই কোর্স দেখেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। আসুন আমরা দেখে নি গ্রাফিক্স ডিজাইনের সফটওয়্যার গুলোর নাম।

প্রিয় পাঠক আমি আজকে এই পোস্টে গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম। আপনারা যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে চান তারা আমারে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে যে কোন একটা ভালো প্রতিষ্ঠানে গ্রাফিক্স ডিজাইন কোর্স করতে পারেন।

গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয় সে বিষয়েও জানতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে গেলে অনেক ধৈর্যের প্রয়োজন এবং সময় দিতে হবে। নির্ভর করবে আপনি কত তাড়াতাড়ি গ্রাফিক্স ডিজাইনে শিখতে পারবেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন কি কি শেখানো হয় সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছে। আপনারা যেন কোন বিষয় নিয়ে আগ্রহ বেশি সেটি শিখতে পারেন।

আশা করি আমার এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়স্বজনদের সাথে শেয়ার করুন। এবং নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার পোস্টে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।