কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন। তাহলে কফি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাবেন। ওজন কমাতে ব্লাক কফি খাওয়ার নিয়ম টা সঠিকভাবে পড়লে আপনারা জানতে পারবেন কিভাবে খেলে ওজন কমবে। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য ব্ল্যাক কফি অনেক উপকারী।
কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন এবং কফি সম্পর্কে ধারণা নেন। সাধারণ কফির চাইতে ব্ল্যাক কফি খাওয়া অনেক উপকারী। ব্লাক কফিতে অনেক রকম উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন রকম রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

ভূমিকা

প্রথমে যদি আমরা ওজন কমানোর কথা চিন্তা করি তবে অবশ্যই ব্ল্যাক কফি উপকারি। ওজন কমাতে ব্লাক কফি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী যদি আমরা খাই তবে অবশ্যই আমাদের ওজন কমবে। কফির উপকারিতা ও অপকারিতা করুন বিস্তারিতভাবে যার কারণে আপনারা বিভিন্ন রকম কফির সম্পর্কে জানতে পারবেন।

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা

কফি খাওয়ার উপকারিতা

কফিতে রয়েছে ক্যাফেইন তাই কফি খেলে খেলাধুলায় মনোযোগ ভালো হয়। হৃদপিন্ডের গতি বাড়িয়ে শরীরকে খেলায় উৎসাহিত করে তোলে।
  • কফি খেলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে সব ধরনের ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না। যেমন মস্তিষ্ক, জরায়ু, ও মুখ্য হবরের ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
  • ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হিসেবে কফি পান করতে পারেন। এটি আপনার শরীরে পরিমাণ মতো এডি পোনেক্টিভ উৎপন্ন করতে পারে। এডিপোনেক্টিভ হলো সেই উপাদান যেটি ইনসুলিন ও সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • কফি চোখের দৃষ্টিশক্তির সমস্যা দূর করতে পারে। ক্লোরোজেনের এসিড কফিতে থাকায় আমাদের চোখকে সুস্থ রাখে।
  • রোগের ঝুঁকি কমাতে কফি সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
  • কফি খেলে আপনার অনেক সময় ক্লান্তি ভাব দূর করে চাঙ্গা করে দেয়। আনন্দ অনুভূতি যোগায়।
  • অনেক সময় অনেকেই ওজন কমাতে চান কফির কারণেও ওজন কমাতে পারেন। ব্ল্যাক কফি ওজন কমানোর জন্য খুব ভালো কাজ করে।
অপকারিতা
কফি খাওয়া ভালো। অতিরিক্ত কফি খেলে নেশায় পরিণত হতে পারে এবং কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া গুলোর মধ্যে যেগুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো হলো
  • সকালে খালি পেটে কফি খেলে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড পাকস্থলীতে তৈরি হয়ে এসিডে পরিণত হয়ে হজমে সমস্যা হতে পারে।
  • কফিতে ক্যাফেইন ও অন্যান্য হোমিও উপাদান থাকার কারণে পাকস্থলীর গায়ে ক্ষত সৃষ্টি হয়ে আলসারে পরিণত হয়।
  • কিডনির কার্যক্ষমতা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • দীর্ঘদিন প্রচুর পরিমাণে কফি খাওয়ার অভ্যাসের কারণে স্বাভাবিক উদ্দীপনাও নষ্ট হতে পারে।
  • যাদের ওজন বেশি তারা দুধ ও চিনি একসাথে করে যদি কফি খান তাহলে তাদের ওজন আরো বৃদ্ধি হয়ে যেতে পারে।
  • কফিতে থাকে ক্যাফিন যার কারণে মস্তিষ্ক উত্তেজিত হয়ে পড়ে। ফলে ঘুম কম হয় সহজে ঘুম আসতে চায় না। বিশেষজ্ঞরা সন্ধ্যার পরে কফি খেতে নিষেধ করেন কারণ এতে ঘুমের সমস্যা হতে পারে।
  • কফি খেলে বাড়তে পারে পেটের সমস্যা। এতে ক্যাফেইন থাকার কারণে পেটের এসিডিটি গ্যাস ইত্যাদি সৃষ্টি হয় এবং এই রোগ দীর্ঘদিন পর্যন্ত হয়।
  • বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যারা নিয়মিত কফি খান তাদের শরীরের কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে ।এর মধ্যে একটি সমস্যা হচ্ছে হাড়ের ক্ষয়।
  • প্রতিদিন আপনি যদি পাঁচ কাপের বেশি পরিমাণ কফি খেয়ে থাকেন তবে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে। তাই আপনি যদি সন্তান নিতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে যে কফি অতিরিক্ত মাত্রায় খাওয়া যাবেনা।
  • আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন তবে কফি খাওয়া বাদ দিতে হবে। কারণ এতে রয়েছে ক্যাফেন যা২০০ ২০০ মিলিগ্রাম শরীরে গেলে গর্ভের শিশুর ক্ষতি হতে পারে। কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

কতটুকু কফি খাওয়া যাবে

আপনারা অনেকেই প্রতিদিন কফি খেয়ে থাকেন। অনেকেই এমন আছে যে কফি ছাড়া দিনটা চলবেই না। আপনাদের এই অভ্যাসের কারণে জানা দরকার যে কফি কতটুকু পরিমাণ খাওয়া দরকার। তাতে আপনাদের কোন রোগ সমস্যায় ভুগবেন না। বিশেষজ্ঞদের মতে দিনে 1 কাপ খাওয়াই যথেষ্ট কিন্তু যদি এর চেয়ে বেশি খেতে চাই তবে দুই কাপের অধিক নয়। সন্ধ্যার পরে কফি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আপনারা কফি খাবেন সকালে এবং সন্ধ্যার আগে। যারা ডায়েট করেন তারা দুধ আর চিনি ছাড়া কফি খেতে পারেন।

আরো পড়ুন:চিরতা কতদিন খাওয়া যায় জানুন

কফি খাবেন ঠান্ডা না গরম

অনেক সময় দোকানে গিয়ে বা বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে গিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয় ঠান্ডা না গরম কফি খাবেন। এই কফি ঠান্ডা না গরম খেলে শরীরের জন্য ভালো সেটা নিয়েও গবেষকদের চিন্তা রয়েছে। গবেষকরা লক্ষ্য করেছে যে ঠান্ডা অবস্থায় এটি খেলে গ্যাস্ট্রিক রোগীর জন্য ভালো। কারণ ঠান্ডা অবস্থাতে ৬৭% এসিডিটি কমতে থাকে আর ক্যাফেইন ঘনবতী অবস্থায় থাকে।
কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন

ব্ল্যাক কফি বানানোর নিয়ম

উপাদান 
  • ফুটন্ত গরম পানি
  • এক চামচ ব্ল্যাক কফি
  • এক চামচ চিনি
প্রথমে প্যানে পানি দিয়ে পানি ফুটিয়ে নিতে হবে তারপর এতে ব্ল্যাক কফি যোগ করে দিন।যখন পানিতে ফুটতে থাকবে এবং কালো রংয়ের হয়ে আসবে চুলাটি বন্ধ করে দেন। যখন কালো রংয়ের হয়ে যাবে তখন। এতে স্বাদ অনুযায়ী চিনি যোগ করে নিয়ে নেড়ে কাপে ঢেলে নিন। যদি আপনি চিনি ছাড়া খেতে চান তবে চিনি বাদ দিয়ে দিন। এতে কোন সমস্যা নাই। আর আপনি যদি চিনি দিয়ে খেতে চান তবে চিনি যোগ করতে পারেন। আপনি ওজন কমাতে চাইলে অবশ্যই চিনি বাদ দিবেন।

ওজন কমাতে ব্ল্যাক কফি খাওয়ার নিয়ম

ওজন বেড়ে যাওয়া একটি অনেক সমস্যার কারণ হয়ে থাকে। শরীর ভারি হয়ে যায় অনেক দুশ্চিন্তা যোগ হয়। শরীরে মেয়ের জমে গেলে নানা রকম রোগ বাসা বাঁধে। তাই ওজন কমানোর জন্য অনেকেই অনেক কিছু করে থাকে। ব্ল্যাক কফি এই জন্য অনেক ভালো একটি উপাদান। যা খেয়ে মানুষ শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে ব্ল্যাক কফি খাওয়া দরকার।

আরো পড়ুন:বিটরুট পাউডার এর দাম কত

অনেকে আছে কফির সাথে দুধ, চিনি ও ক্রিম দিয়ে খেতে পছন্দ করে। এতে সুস্বাদু আছে তবে ওজন কমবে না এর বিপরীতে ওজন আরো বাড়তে পারে। ব্ল্যাক কফি খেলে আপনার ওজন যেমন কমবে তেমন ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে। যাদের হার্টের সমস্যা তারাও খেতে পারেন তাহলে হাড়ের সমস্যা থেকে দূর হওয়া যায় এবং শরীরও চন মনে থাকে। 

রাতে খাবার পরে এক কাপ ব্ল্যাক কফি খেলে দ্রুত ওজন কমতে সাহায্য করে। ব্ল্যাক কফিতে রয়েছেে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা গ্লুকোজ উৎপাদন করতে বাধা দেয় ।ব্ল্যাক কফির আরো উপাদান রয়েছে সেগুলো আমরা জেনে নিই।

ব্ল্যাক কফির মধ্যে রয়েছে বায়ো- অ্যাক্টিভ।বায়ো- অ্যাক্টিভ হল ক্লোরোজেনিক এসিড, ক্যাফেইন, ম্যাগনেসিয়াম ও ট্রাইগোনেলিন। গবেষণা থেকে বলা হয়েছে যে এই ধরনের বায়ো- অ্যাক্টিভ উপাদান ওজন কমাতে সাহায্য করে। কফির মধ্যে যে ক্যালরি থাকে এতে কোন ফ্যাট থাকে না। এক্ষেত্রে ওজন
বাড়ার কোন সম্ভাবনা থাকে না। তবে এর মধ্যে যদি দুধ ও চিনি ক্রিম ইত্যাদি দিয়ে খাওয়া যায় তবে আপনার ওজন বেড়ে যাবে। তাই শুধু ব্ল্যাক কফি খাওয়ারই চেষ্টা করবেন। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য ব্ল্যাক কফি খাওয়াটাই ভালো হবে।

ব্ল্যাক কফির দাম কত

আমরা অনেকেই কফি খেয়ে থাকি। অনেকেই কফিটা অনেক পছন্দ করে খেতে। কেউ ব্লাক কফি পছন্দ করে কেউ আবার করে না। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্ল্যাক কফি পছন্দ করে। তবে ব্ল্যাক কফির দাম সম্পর্কে জানতে গেলে বিভিন্নজন বিভিন্ন ধারণা দিবে। কারণ ব্ল্যাক কফি কখনোই এক ভাবে স্থায়ী দাম নিয়ে থাকে না। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হয় এবং বিভিন্ন দামের হয়ে থাকে।

ব্ল্যাক কফিতে কোনরকম দুধ বা চিনি মেশানো থাকে না তাই এই কফি অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে।২০২৪ সালে এক কেজি ব্ল্যাক কফির দামি ছিল ১০০০-১৪০০ হাজার টাকা।সিংল অরিজিন কফি বেশি জনপ্রিয় হওয়ায় এ কফিটা সবাই পছন্দ করে।এ কফিটি একটি নির্দিষ্ট স্থানে পাওয়া যায় বা অঞ্চলে। এই কফির স্বাদ ও সুভাষ অনেক জনপ্রিয় তাই দামও অনেক বেশি।

আরো পড়ুন:ঘরে বসে প্যাসিভ ইনকাম করুন ৭টি উপায়ে

বাজারে বিভিন্ন রকম ব্র্যান্ডের ব্ল্যাক কফি পাওয়া যায়। সে ব্র্যান্ড অনুযায়ী দাম ধরা হয় এবং তার পরিমাণ কতটুকু সেই হিসেবে দাম ধরা।ব্ল্যাক কফ এর মধ্যে রয়েছে ব্ল্যাক আইভরি কফি, স্লিমিং কার্ড কফি, গ্রীন কফি আরও ইত্যাদি ধরনের কফি রয়েছে। তবে ব্ল্যাক আইভরি কফি সবচেয়ে বিখ্যাত।ব্ল্যাক আইভরি কফি বাংলাদেশসহ বিশেষ শব্দে সেই বিখ্যাত।

এই কফিকে থাইল্যান্ডের দ্বিতীয়তম কফি হিসেবে বলা হয়। তাহলে বুঝতেই পারছেন এই কফির দাম কেমন হওয়া দরকার। আপনারা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখতে পারেন এই কফির দাম বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে তবে আসল পণ্য দেখে আপনারা কিনবেন। কারণ অনেক সময় দেখা যায় ব্ল্যাক আইভরি কফি না তারপরেও লেভেল গায়ে দিয়ে সেটা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে চড়া দামে। তাই কফি কিনার ক্ষেত্রে অবশ্যই যাচাই বাছাই করে কিনবেন।

লেখক এর শেষ কথা

কফির উপকারিতা ও অপকারিতা পড়ুন। কফি খাওয়ার আগে আপনারা যদি কোন কফি খাওয়া ভালো সে বিষয়ে ভালোভাবে জানেন তাহলে অবশ্যই ব্ল্যাক কফি খাওয়ায় ভালো। কফির উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে আমার এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। আপনারা এই আর্টিকেল পড়ে আপনারা বিস্তারিত জানতে পারবেন। ব্ল্যাক কফি খেলে আমাদের শরীরের অনেক রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং ওজন কমাতে যারা চান তাদের জন্য ব্ল্যাক কফি অনেক ভালো এবং উপকারী। তাই ভালো মানের কফি দেখে কিনুন।

আরো পড়ুন:লাউ এর উপকারিতা ও অপকারিতা

আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারাও উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজন এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দেন। নিয়মিত আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আমার আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;

comment url