বিটরুট পাউডার এর দাম কত
বিটরুট পাউডার এর দাম কত এবং গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা জানতে চান? তাহলে আমারে আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য আপনারা অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আমার এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। বিটরুট সম্পর্কে অনেকেই এখনো জানেনা।
বিটরুট একটি সবজি। যেই সবজিতে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিতে ভরা। ও পাওয়া যায়। অনেকেই বিটরুট পাউডার কিনে পানিতে গুলিয়ে খেতে পারে। বিটরুট পাউডারেও অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। তবে কোন কিছুই অতিরিক্ত খাওয়া ভালো নয় তাই পরিমাণ মতো বিটরুট খাওয়া উচিত।
ভূমিকা
বিটরুট একটি শীতকালীন সবজি। যেটা দেখতে লাল গোলাপি রংগের হয়ে থাকে। অনেক উপকার রয়েছে। আমার এই আর্টিকেলে আপনাদের জন্য উপকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।বিট রোড খেলে হজম শক্তি বাড়ায় ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে আরও বিভিন্ন রকম উপকারে আসে। বিটরুট পাউডার এর দাম কত তা জানার জন্য আপনারা বিভিন্ন রকম পেজ দেখতে পারেন। বিভিন্নভাবে খাওয়া যায় কাঁচা এবং রান্না করেও খেতে পারেন।
আরো পড়ুন:চিরতা কতদিন খাওয়া যায় জানুন
বিটরুট এর উপকারিতা
বিটরুট নামে এই সবজিটি অনেকেই চিনেন না।বিটরুট দেখতে লাল গোলাপি কালার এটি আমাদের দেশে খুব একটি প্রচলন নয়। এটা একটি শীতকালীন সবজি হলেও বর্তমানে বাজারে সব সিজনেই দেখা যায় ।বিটরুটকে সুপার ফুডো বলা হয়। কারণ এটি একটি ঔষধি গুণে গুণান্বিত সবজি যার পুষ্টিগুণ অনেক।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আপনারা বিটরুট রাখতে পারেন। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারে আসবে। বিটরুল রান্না করেও খাওয়া যায় এবং কাঁচা সালাদ হিসেবেও খাওয়া যায়। বিটরুটের উপকারিতা অনেক আসুন আমরা জেনে নিই বিটরুট উপকারিতা সম্পর্কে।
উচ্চ রক্তচাপ এবং রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে
মেয়েদের একটা বয়স আসলে মনপোজ কারণে শরীরের লবণ শোষণ করে খাবার থেকে। যা রক্তচাপ, বুক ধরফর, মাথাব্যথা, ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। সে সময় বিটরুট সবজি অনেক উপকারে আসে। বিভিন্ন রকম ভাবে বিটরুট রান্না করে খাওয়া যায়। আপনারা যদি বিটরুট কাঁচা সালাদ হিসেবে খেতে না পারেন তবে রান্না করে বিভিন্ন রকম ভাবে খেতে পারেন।কারণ বিটরুটের একটি কাঁচা গন্ধ রয়েছে সেটা অনেকেই পছন্দ নাও হতে পারে।
হজম শক্তি বাড়ায়
অনেকের হজম শক্তি অনেক কম। সেক্ষেত্রে আপনারা বিটরুট খেতে পারেন। আপনার হজম শক্তি সমস্যা সমাধান করবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায়
মানুষের বয়সের সাথে সাথে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। এমন একটা সময় আসবে যখন মানুষ ভুলে যেতে থাকে। এক কাপ বিটরুটের জুস খেলে কিন্তু এই সমস্যাকে দূর করা যায়।এতে মস্তিষ্কের রক্ত চলাচল সঠিক ভাবে বাড়িয়ে দেয় এবং ব্লাড প্রসারকে কমিয়ে সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
দীর্ঘমেয়াদি চোখের যত্নে
বিটরুট চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। বিটরুটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা লুটেইন নামে আখ্যায়িত করা হয়। বয়স জনিত চোখের রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। চোখের স্বাস্থ্য এবং চারপাশের স্নায়ু টিস্যু শক্তি এবং সুস্থতা বজায় রাখে।তাছাড়াও আরো অনেক উপকারে আসে।
- কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
- রক্তের কোলেস্টেরল ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- ফ্যাটি লিভার থেকে চর্বি অপসারণ এর সাহায্য করে।
- চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ কমায় এবং ত্বকে সুন্দর রাখে।
- উচ্চ রক্তচাপে রোগীদের রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তের শর্করা ঠিক রাখে।
বিটরুট কারা খাবেন না
বিটরুট শরীরের পক্ষে খুবই ভালো একটি সবজি। কিন্তু কোন কিছুই একটা না খাওয়া ঠিক নয় কারণ এতে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই বিটরুট নিয়মিত না খেয়ে সপ্তাহে ৩- ৪ দেন খাওয়া ভালো।
- যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা বিট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ বিটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অনেক বেশি থাকে যা রক্তের শর্করা মাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
- যাদের কিডনিতে পাথর আছে তারা বিট খাবেন না।
- বিটরুটে অনেকের এলার্জি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে বিটরুট খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- যারা বিটরুট খেতে চান তারা অবশ্যই ডক্টরের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন।
বিটরুটের পুষ্টি উপাদান সমূহ
বিটরুট এ রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। আরো রয়েছে আইরন, ক জিংক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ম্যাঙ্গানিজ,আয়োডিন ইত্যাদি।এছাড়াও প্রচুর পরিমাণ ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
বিটরুট খাওয়ার নিয়ম
বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিতে ভরা রয়েছে। এই সবজিটা এখন প্রায় বাজারে সবসময়ই দেখা যায়। তবে মানুষ এটা কম খায়। আপনারা যারা বিটরুট সম্পর্কে জানেন না। রান্নার রেসিপি দেখে আপনারা সেভাবে সালাদ ও রান্না করে খেলে অনেক উপকারে আসবে।তাছাড়াও বিটরুটের জুস হিসেবেও খাওয়া যেতে পারে।তাহলে আসুন ঝটপট বিটরুটের রেসিপি দেখে নেয়া যাক।
বিটরুটের জুস
উপকরণ বিটরুট কুচি ১ কাপ, কাপ লেবুর রস এক চামচ, মধু দুই চামচ, টক দই দুই চামচ।
প্রস্তুতকরণ
প্রথমে বিটরুট ধুয়ে ভালো করে কুচি করে নিতে হবে। তারপরে ব্লেন্ড করতে হবে। বাকি যত উপকরণ আছে সবগুলোই ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে ছেঁকে পরিবেশন করুন।
বিটরুটের মিল্কসেক
উপকরণ বিটরুট কুচি ১ কাপ,তরল দুধ২কাপ,১/২ কাপ মধু।
প্রস্তুতকরণ
বিটরুট ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে ভাব দিয়ে রাখতে হবে। দুধ জাল দিয়ে ঘন করে ঠান্ডা করে রাখতে হবে। দুধের সাথে মধু একসাথে ব্লেন্ড করতে হবে। এরপর ভাপ দিয়া বিটরুট গুলো ব্লেন্ড করে নিন।বিটরুট রস থেকে আলাদা করে নিয়ে আবার ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার সব ঠিকমতো ব্লেন্ড হয়ে গেলে গ্লাসে সাজিয়ে পরিবেশন করুন।
বিটরুট সালাদ
উপকরণ একটি বিট কে সিদ্ধ বা গ্রেট করে রাখতে হবে, টক দই ফাটানো, এক চিমটি গোলমরিচ, চাট মসলা এক চামচ, ধনেপাতা কুচি পরিমাণ মতো, অলিভ অয়েল তেল পরিমাণ মতো, আস্ত সরিষা পরিমাণ মতো, কেউ যদি হিং ও কারিপাতা পছন্দ করে তাহলে দিতে পারে।
প্রস্তুত করণ
একটি পাত্রে সিদ্ধ করা বিটরুট দিয়ে ফাটানো টক দই এবং যত মশলা রয়েছে সবগুলো দিয়ে ভালো করে চামচ দিয়ে নাড়াচাড়া করে নিন। একটা পাত্রে গরম তেল দিয়ে আসতো সরিষা ও জিরে ফোরন দিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন। এবার তেলের সরিষা ও ফোড়ন টক দইয়ের মধ্যে দিয়ে ভালো করে মেশাতে থাকুন তৈরি হয়ে গেল সালাদ।
বিটরুটের হালুয়া
উপকরণ বিটরুট কুচি 2 কাপ, দুধ ২ কাপ, ঘি ২ কাপ, পরিমান মত চিনি বা খেজুরের গুড়, পেস্তা বাদাম বা কাঠবাদাম, নারিকেল কুচি।
প্রস্তুত করণ
একটি পাত্রে বিটরুট দিয়ে মাঝারি আচে ২ কাপ দুধ দিয়ে ভালো করে নাড়ুন।এরপর চিনি ও ঘি দিয়ে নাড়তে থাকুন। আপনারা যদি খেজুরের গুড় দিয়ে পছন্দ করেন খেতে তবে চিনির বদলে খেজুরের গুড় দিতে পারেন। এরপর নারিকেল কুঁড়া দিয়ে ভালোভাবে নাড়তে থাকুন। হালুয়া তৈরি হয়ে আসলে বাদাম কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
কাঁচা বিট বিভিন্ন রকম রান্নাতে সবজির সাথে দিয়েও রান্না করা যায়। কাচা বিট কুচি করে কেটে ভাজি করলেও খেতে ভালো লাগে।
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার উপকারিতা
গর্ভাবস্থায় বিটরুট খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। বিটরুটে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি থাকায় এর চাহিদা অনেক বেশি।তাহলে আসুন জেনে নিই গর্ভাবস্থায় বিটরুট খেলে কি উপকারে আসে।
আরো পড়ুন:থ্যালাসেমিয়া কি কেন হয় লক্ষন ও প্রতিরোধে করনীয়
আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সাহায্য করে। বিটরুটে প্রচুর পরিমাণ আয়রন রয়েছে।যা গর্ভ অবস্থায় আয় আয়নের প্রয়োজন হয় সেই ঘাটতিটা পূরণ করতে সাহায্য করে।
ওজন স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় ওজন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা বিটরুটের মাধ্যমে স্বাভাবিক রাখা সম্ভব।
শরীরের শক্তি জগতে বিটরুট অনেক বেশি ভূমিকা পালন করে। শরীরের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করতে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় অনেকের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থাকে। বিটরুট এই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।
ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটি দূর করতে বিটরুট সহায়তা করে। বিটরুটে ফলিক এসিড থাকার কারণে ভ্রূণগত সমস্যা দূর হয়।
বিটরুটে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যার কারণে গর্ভাবস্থায় খেলে অনেক অনাক্রম্যতার উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
বিটরুট পাউডার এর দাম কত
বিটরুট পাউডার বাজারে বিভিন্ন রকম দামে পাওয়া যায়। আবার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে ও পাউডার পাওয়া যায়। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন রকম দাম। আপনারা বিটরুট পাউডার কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই অনলাইনে যে ওয়েবসাইট থেকে কিনবেন সেখানে নাম্বার দেয়া থাকে সেখানে কল দিয়ে কথা বলে কিনবেন। বিটরুট পাউডার কত গ্রাম নিবেন তার ওপর নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়।
আরো পড়ুন:আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার খাওয়ার নিয়ম
তাই আপনি আগে বিটরুট পাউডার এর দাম কত সেটা জানার জন্য আগে কত গ্রাম নিবেন সেই সম্পর্কে আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে কিনুন।আবার অনেক ওয়েবসাইটেই বিটরুট পাউডার এর দাম কত আপনি জানতে চাইলে সেখানেই লেখা থাকে।বিটরুট পাউডার এর দাম কত সেটা জানতে আপনারা বাজারেও গিয়ে জানতে পারবেন।
- ২০০ গ্রাম বিটরুটের দাম ৪৯৯ টাকা। অনেক সময় অফার প্রাইজ দেয়।এই অফার প্রাইজে অনেক কম দামে বিট রোড পাউডার পাওয়া যায়।
- আবার এক পেজে রয়েছে ২০০ গ্রাম বিটরুট পাউডার এর দাম ১০০০টাকা। তাই আপনারা ওয়েবসাইটের ও বিভিন্ন পেজে বিটরুট পাউডার এর দাম কত সেটা দেখে কিনতে পারবেন।
লেখকের মন্তব্য
আমরা অনেকেই বিটরুট খেতে পছন্দ করি না। কিন্তু এই বিটরুটে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। এ পুষ্টিকর সম্পর্কে অনেকেই জানেনা। তাই এই আর্টিকেলে আর আপনাদের জন্য বিটরুট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আপনি কত পরিমান বিটরুট পাউডার নিবেন তার ওপর নির্ভর করে বিটরুট পাউডারের দাম কত হবে সেটা দেখে কিনবেন। এবং বিটরুট খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী খাবেন।
আরো পড়ুন:বিশ্বের সেরা ১০ সুপার ফুডের তালিকা
আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমি আপনাদেরকে বুঝাতে পেরেছি বিট রুটের উপকারিতা অপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় খেলে কি উপকারে আসে সম্পর্কে। আমারে আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url