মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় জানতে চান? ড্রপশিপিং থেকে ইনকাম করে কিভাবে আয় করা যায় সে সম্পর্কে কি আপনারা জানতে চান? তাহলে আমারে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে আপনারা মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
অনেক মেয়েরা আছে যে ঘরের কাজ শেষ করার পরেও কিছু কাজ করতে চাই যেন যেটা ঘরে বসে করতে পারবে। এবং কিছু আয় করতে পারবে যা দ্বারা তারা সংসারেও কাজে লাগাতে পারে। বর্তমান যেহেতু অনলাইনের যুগ তাই অনলাইনেও অনেক কাজ করা সম্ভব। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অনলাইন থেকেও ইনকাম করা যায়।
ভূমিকা
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় কি কি হতে পারে তা আমার এই আর্টিকেলে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। যা থেকে আপনারা জানতে পারবেন অনলাইনের মাধ্যমে বা ঘরে বসে কিভাবে ইনকাম করা সম্ভব। বিভিন্ন রকম উপায় রয়েছে যেগুলো আপনারা ইনকামের জন্য কাজে লাগাতে পারেন। কিছু কিছু এমন উপায় রয়েছে যেগুলোতে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে না।
মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
বর্তমান যুগে শিক্ষাগত যোগ্যতার হার ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও ঘরে বসে আয় করতে পারে। অনেকেই চাকরি করতে বাইরে যাই। অনেক মেয়েরা বা পরিবার বাইরে যেয়ে চাকরি করা পছন্দ করে না। তাই ঘরে বসে মেয়েরা অনেক উপায়ে আয় করতে পারে। ঘরের কাজ করার পরে অনেক সময় থাকে যে সময়টা কাজে লাগিয়ে আয় করা সম্ভব। আর ঘরে বসে আয় করার জন্য সে মাধ্যমগুলো প্রথমে জানতে হবে। অনেক উপায়ে ঘরে বসে আয় করা যায়। আর দেরি না করে আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে মেয়েদের ঘরে বসে আয় করা যায়।
- ফেসবুক পেজ।
- ইউটিউব চ্যানেল।
- ব্লগিং।
- ভিডিও এডিটিং।
- কনন্টেন রাইটিং।
- ডাটা এন্ট্রি।
- ড্রপশিপিং।
- ফ্রিল্যান্সিং।
- ওয়েবসাইট বিক্রি।
- টেলিকলিং।
- টিউশনি করে।
- বিউটি পার্লারের কাজ করে।
- বাগান তৈরি করে।
- টিফিন সার্ভিস করে।
- গৃহপালিত পশুপাখি পালন করে।
- দর্জির কাজ করে।
ফেসবুক পেজ থেকে ইনকাম করে
আজকাল প্রায় প্রত্যেকেই ফেসবুকে পোস্ট দেখে বা বিভিন্ন রকম ভিডিও দেখে কারো সাথে চ্যাটিং করে। এই সময়টাই কাজে লাগিয়ে আপনারা ইনকাম করতে পারেন। ফেসবুকে সঠিকভাবে কাজ করে সঠিক নিয়মে প্রচুর পরিমাণ আয় করা সম্ভব। বর্তমানে মেয়েরা ফেসবুকে একটি গ্রুপ তৈরি করতে পারে যার মাধ্যমে ইনকাম শুরু হবে। গ্রুপটি বড় পরিসরে করতে হবে।
ফেসবুকের একটি সুন্দর নাম দিয়ে একটি গ্রুপ তৈরি করার পরে সেটি বড় পরিসরে অনেক মেম্বার এড করে টাকা ইনকাম করা যায়। যদি আপনার গ্রুপে 10000 মেম্বার হয় তবে গ্রুপ থেকে একাধিক উপায় টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আপনি ফেসবুক খোলার পরে ফেসবুকে আপনার যেসব ফ্রেন্ড আছে তাদের ইনভাইট করুন এবং তাদেরকে বলুন তাদের বন্ধু-বান্ধবদের ইনভাইট করতে এবং আরো অন্যান্য মানুষদেরও ইনভাইট করুন এভাবে ফেসবুকে গ্রুপটি ধীরে ধীরে বড় হতে থাকবে।
আরো পড়ুন:বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রচনা
এবং সেখান থেকে আপনি একটি বড় পরিসরের ইনকাম করতে পারবেন। এখানে যখন অনেক মানুষ অ্যাড হয়ে যাবে তখন অ্যফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আয় করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং টি হচ্ছে ই-কমার্স পণ্য বিক্রি করা। একটি বড় ফেসবুক গ্রুপ থাকলে ই-কমার্স কোম্পানি থেকে পণ্য বিক্রি করে কমিশনের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। এ প্রক্রিয়া কে বলা হয় এফিলিয়েট মার্কেটিং। এভাবে ঘরে বসে ছেলে বা মেয়েরা ফেসবুক গ্রুপ বা পেজের মাধ্যমে ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে।
ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইনকাম করে
ইউটিউব চ্যানেল থেকেও আয় করা সম্ভব। এজন্য দরকার একটি ইউটিউব চ্যানেল যেটি থেকে আপনি ঘরে বসেই ইনকাম করতে পারেন। ইউটিউব পৃথিবীর মধ্যে ভিডিও শেয়ারিং এর জন্য সবচেয়ে ভালো একটি সাইট। যে কেউ গুগল একাউন্ট থেকে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে খুব সহজে ভিডিও বানিয়ে আপলোড দিয়ে সেখানে ইনকাম করতে পারেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশসহ বাংলাদেশেও অনেক ইউটিউবার ভিডিও বানিয়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছেন। ইউটিউব চ্যানেল হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম ইনকাম করার ক্ষেত্রে। আপনি যে কোন বিষয়ে ভালো একটি ভিডিও বানিয়ে youtube চ্যানেলে আপলোড করতে পারেন।
যেমন অনেকেই আছে রান্নার কাজ, ঘরবাড়ি গোছানো, খেলাধুলা, কেনাকাটা, তোমার বিভিন্ন রকম বিষয়ে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউব আপলোড দিয়ে থাকে। বর্তমানে রান্না অনেকেই পছন্দ করে তাই রান্নাটাই অনেকে বেছে নিয়েছে। বিভিন্ন রকম রান্না করে তারা ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করছে এর মাধ্যমে হাজার হাজার টাকা আয় করে নিচ্ছে।
আরো পড়ুন:রাজশাহী বিভাগের জেলা কয়টি ও কি কি
আপনার এই ভিডিও যখন মানুষ দেখবে এবং আপনার চ্যানেলকে সাবস্ক্রাইব করবে তখন আপনার ইনকাম শুরু হবে। তবে শুধু ভিডিও বানালেই যে টাকা ইনকাম হবে তা নয় তার জন্য অবশ্যই জানতে হবে কিভাবে ভিডিও বানিয়ে মনিটাইজেশন করে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে হয়।
যখন ভিডিও দেখতে দেখতে ভিউ আসা শুরু করবে এবং চ্যানেলের সাবস্ক্রাইব ১০০০ হয়ে যাবে তখন মনিটাইজেশন করে ইউটিউব থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই ইউটিউব থেকেই ঘরে বসে বিভিন্ন রকম ভিডিও বানিয়ে আয় করার একটি ম ভালো মাধ্যম।
ব্লগিং থেকে ইনকাম করে
ব্লগিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম ইনকাম করার। ব্লগিং ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ঘরে বসেই করা যায়। আপনি যদি পার্ট টাইম ব্লগিং হিসেবে কাজ করেন সেটি থেকেও ইনকাম করতে পারবেন এবং ধীরে ধীরে আপনি ফুলটাইম ব্লগিং শুরু করতে পারেন। একজন ফুল টাইম ব্লগার প্রতি মাসে ২০০০০-৩০০০০ টাকা আয় করতে পারে। ব্লগিং করতে গেলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল হতে হবে।
কারণ কেবলমাত্র আর্টিকেল লেখার মাধ্যমে এইখান থেকে আয় করা যায়। ব্লগিং করে আয় করার জন্য প্রথমে আপনাকে অনলাইন ব্লক তৈরি করতে হবে। অনেক রকম ভাবে ব্লক তৈরি করা যায় যেমন আপনাকে ডমিন এবং হোস্টিং ক্রয় করে ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনি আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন বিভিন্ন বিষয়ে।
যেমন আর্টিকেল, খাবার রেসিপি, খেলাধুল, তথ্য ও প্রযুক্তি, বিভিন্ন রকম ঔষধি গাছ, প্রসাধনী, ট্রাভেল, স্বাস্থ্য বিষয়, বিভিন্ন রকম সেবা ইত্যাদি বিষয়ে লেখালেখি করতে পারেন। ঘরে বসে আর্টিকেল লিখে খুব সহজেই আপনারা ইনকাম করতে পারেন কিন্তু এটি ধৈর্য ধরে করতে হবে। ব্লগে আর্টিকেল লিখা লিখি করতে করতে যখন আপনার ভিজিটর বেশি আসা শুরু করবে এবং আপনার আর্টিকেলটি পড়বে তখন আপনি এডসেন্স পাবেন।
আরো পড়ুন:নরমাল মেকআপ করতে কি কি লাগে
গুগল এডসেন্স এবং এফিলিয়েট মার্কেট এর মাধ্যমে ব্লগ থেকে ইনকাম করা সম্ভব হয়। মেয়েরা এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারে কারণ তারা ঘরে বসে আর্টিকেল লিখতে পারে কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে। এতে করে তাদের বাইরে যেয়ে কাজ করতে হয় না।মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
ভিডিও এডিটিং থেকে ইনকাম করে
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং করেও ইনকাম করা সম্ভব। অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে ভিডিও এডিটিং করা শেখায়। এই ভিডিও এডিটিং এ দক্ষ হলে অনেক জায়গায় জবের অফার পাওয়া যায়। এবং আপনি যদি প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং এর কাজ শিখে আপনার নিজের বিভিন্ন রকম ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড দেয়ার জন্য নিজেও ভিডিও এডিটিং করে কাজে লাগাতে পারেন।
এভাবে ইনকাম করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতেও ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয় এছাড়াও মিডিয়াতেও ভিডিও এডিটিং এর প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন রকম ভিডিওটি এডিটিং এর কাজ করে আপনি ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারবেন। বর্তমানে বিভিন্ন রকম কার্টুন ভিডিও প্রচুর পরিমাণ জনপ্রিয় হয়েছে।
তাই আপনি যদি একজন ভালো পরিমাণের ভিডিও এডিটিং এর কাজ জানেন তবে কাটুন ভিডিও তৈরি করেও ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। ভাল পরিমানের ভিডিও আপলোড করলে ইউটিউব থেকে ভালো সাবস্ক্রাইব পেলে প্রচুর পরিমাণ ভিউ পেলে ভালো পরিমান আয় করা শুরু হয়ে যাবে। এটিও ঘরে বসে মেয়েরা কাজ করে ইনকাম করতে পারেন।মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায়
ডাটা এন্ট্রি থেকে ইনকাম করে
ডাটা এন্ট্রি কাজ করার মাধ্যমেও ঘরে বসে ইনকাম করা সম্ভব। আপনার অবশ্যই মাইক্রোসফট এক্সেল এবং মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর কাজ জানা থাকতে হবে। তাহলে আপনি ডাটা এন্ট্রি তে সহজে ইনকাম করতে পারবেন। ডাটা এন্টিক কাজটি অনেক কঠিন কিছু নয় কম্পিউটারের সাধারণ ধারণা থাকলে এই
কাজটি করা সম্ভব। ডাটা এন্ট্রিতে অবশ্যই টাইপিং টা দ্রুতগতি হতে হবে। মেয়েরা খুব সহজেই ঘরে বসে ডাটা এন্ট্রি করে ইনকাম করতে পারে।
ড্রপশিপিং থেকে ইনকাম করে
ড্রপশিপিং করেও মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে। ড্রপশিপিং করে ইনকাম করাটাও খুব সহজ। এটি একটি অনলাইনের ই-কমার্স সাইডের কাজ। ই-কমার্স সম্পর্কে আপনার যদি ভালো ধারণা থাকে তবে আপনি খুব সহজে ড্রপশিপিং করে ব্যবসায়ী আয় করতে পারেন।
এই ব্যবসাতে আপনাকে কোন রকম ইনভেস্ট করতে হয় না। এই সিস্টেমে আপনাকে কোনরকম পণ্য স্টক করার প্রয়োজন হয় না। আপনার পণ্য কাস্টমার কাছে পৌঁছে দেয়ার দায়িত্ব হল পাইকারি বিক্রেতা অথবা পণ্য উৎপাদনকারীর। খুচরা বিক্রেতার কাজ হল অর্ডার নিয়ে পাইকারি বিক্রেতার কাছে কাস্টমারের ঠিকানা দিয়ে দেয়া।
সেই অনুযায়ী পাইকারি বিক্রেতা সে ঠিকানায় কাস্টমারের কাছে পণ্য পৌঁছে দেবে। অর্ডার কনফার্ম করার পর খুচরা বিক্রেতা তেজ বা সাইডের নাম লোগো পাইকারি বিক্রেতার কাস্টমার এর কাছে পৌঁছে দেয়া এবং নির্ধারিত দাম নিয়া। ড্রপশিপিং ব্যবসা করে খুব সহজেই মেয়েরা ঘরে বসে ইনকাম করতে পারে।
টেলি কলিং এর কাজ করে ইনকাম
ঘরে বসে খুব সহজে টেলি কলিং করে ও মেয়েরা ইনকাম করতে পারে। বিভিন্ন কোম্পানির তথ্য দেয়ার জন্য টেলি কলিং নিয়োগ দিয়ে থাকে। এই কাজটি করার জন্য আপনাকে সুন্দর ভাবে কথা বলতে হবে। অনেক কোম্পানি আছে যেগুলো ট্রেনিং দিয়ে নেয় সে ক্ষেত্রে আরও অনেক ভালো হবে। এই কাজটি আপনি ইন্টারনেট কানেকশন এবং একটি এন্ড্রয়েড ফোন থাকলে সহজে করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক বেশি আয় করা সম্ভব। ফ্রিল্যান্সিং ঘরে বসেই করা যায় আপনাকে ঘরের বাইরে যেতে হবে না। বর্তমানে এ চাহিদা অনেক বেশি ছেলেমেয়েরা ফ্রিল্যান্সিং এ বেশি আগ্রহী হচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং করে অনেকেই ইনকাম করছে কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করা এতটা সহজ নয়।কারণ ফ্রিল্যান্সিং করার আগে দক্ষ প্রশিক্ষকের দ্বারা প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
এবং আপনাকে ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। কারণ আপনি যখন বিদেশে বায়ারের সাথে কথা বলবেন তখন ইংরেজিতে কথা বলতে হবে।বিদেশীরা বাংলা ভাষা তো বুঝবে না তাই ইংরেজিতে আপনাকে কথা বলে কাজটি নিতে হবে।সেক্ষেত্রে আপনার ইংরেজি জানা জরুরী। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য মার্কেটপ্লেসে আপনাকে একাউন্ট খুলতে হবে।
যেমন ফাইভার ও আপ ওয়ার্ক প্ল্যাটফর্মে একাউন্ট খুলতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এঅনেকগুলো কাজ রয়েছে সেগুলো হচ্ছে ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, কনটেন্ট রাইটিং, ভিডিও এডিটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি।উপরোক্ত কাজগুলোর মধ্যে আপনি যে কোন একটি কাজ নিয়ে পারদর্শী হয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। তবে এই কাজে ও অনেক ধৈর্য লাগে।
কারণ প্রথম দিকে আপনি কাজ নাও পেতে পারেন। ধীরে ধীরে আপনি যখন কাজ পাবেন তখন কাজের দক্ষতা অনুযায়ী আপনার কাজের অভাব হবে না। মেয়েরা ঘরে বসে এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারে।
ওয়েবসাইট বিক্রি করে ইনকাম
ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অল্প পরিমাণ ইনভেস্ট করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারেন। আপনি ওয়েবসাইটটি তৈরি করার পরে আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে ও ইনকাম করতে পারেন। আপনি ওয়েবসাইটটি তৈরি করার পরে ৫০-৬০ একটি আর্টিকেল পোস্ট করার পরে এ্যাড সেন্টার এর জন্য আবেদন করতে পারেন।
প্রতিদিন আপনার ওয়েবসাইটে ৭০-৮০ ক্লিক হলে এডসেন্স পেতে দেরি হবে না। তাহলে আপনি খুব সহজেই এডসেন্সটি পেয়ে যাবেন। গুগল এডসেন্স পাওয়ার পরে আপনি ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি ওয়েবসাইটটি বিক্রি করেন তাহলেও আপনি একটি ভাল পরিমান ইনকাম করতে পারবেন।
টিউশনি করে ইনকাম করা
টিউশনি করে ঘরে বসে মেয়েরা ইনকাম করতে পারেন। অনেক অভিভাবক আছে যে তারা মেয়েদের কাছে তাদের সন্তানদের টিউশনি দিতে চান। সেক্ষেত্রে অনেকেই আছে ভালো মেধাবী স্টুডেন্ট তারা বাড়িতে বসেও টিউশনি করতে পারেন। আপনার বাড়ির আশেপাশে যে বাচ্চারা রয়েছে তাদেরকে পড়ানোর জন্য তাদের অভিভাবককে বলুন।
তাদের অভিভাবকরা আপনার কাছে টিউশনি জন্যবাচ্চাদেরকে দিয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে এটি ঘরে বসে আয়ের ভালো একটি উপায়। বর্তমানে বাচ্চাদের পড়ানোর জন্য সর্বনিম্ন ১৫০০ টাকা দিয়ে থাকে। আপনি যদি কাজের ফাঁকে সময় বের করে ১০-১২ জন বাচ্চাকে পড়াতে পারেন তবে আপনি প্রতি মাসে একটি ভালো পরিমাণ ইনকাম করতে পারবেন।
বিউটি পার্লার দিয়ে ইনকাম করা
প্রায় প্রতিটা মেয়েই সাজগোজ করতে ভালোবাসা। অনেকেই নিজেরাই সুন্দর করে সাজতে পারে এবং রূপচর্চা ও করতে পারে। কিন্তু বর্তমানে এখন প্রায় মেয়েরাই বিউটি পার্লারে যেয়ে সাজগোজ করে নিজেকে পরিপাটি করে তুলছে এবং রূপচর্চা করেও নিজেকে সুন্দর করে তুলছে। তাই বিউটি পার্লেও হতে পারে আপনার জন্য ভালো একটি ইনকামের উৎস।
বিউটি পার্লার চালু করার জন্য আপনার খুব বেশি ইনভেস করার প্রয়োজন হয় না। বাড়ির যে কোন একটি ঘর ডেকোরেশন করেই বিউটি পার্লারের কাজ চালু করতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে আপনার কিছু আসবাবপত্র কেনার প্রয়োজন এবং বিউটি পার্লারের জন্য যে প্রোডাক্ট গুলো লাগবে সেগুলো আপনাকে কিনার প্রয়োজন হবে।
আরো পড়ুন:শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব
ডেকোরেশনের জন্য যে আসবাবপত্রগুলো প্রয়োজন সেগুলো হলো চেয়ার,ফেসিয়াল করার জন্য চেয়ার, মেকাপ টেবিল, আয়না, ফেসিয়াল মেশিন হেয়ার স্প্রে, হেয়ার হিটার, অবশ্যই রুমটাকে ডেকোরেশন করতে হবে। সুন্দর ডেকোরেশন থাকলে পার্লারের সম্পর্কে মানুষ ভালো ধারণা পাবে এবং একজন আরেকজনকে বলবে নতুন কাস্টমার আসা শুরু করবে।
এবং ভালো মানের প্রসাধনীর পণ্যগুলা রাখতে হবে যাতে করে মানুষ বোঝে যে এ পণ্যগুলো দিয়ে তাদের সাজ সজ্জা এবং রূপচর্চা উন্নতি হচ্ছে। তাই বিউটি পার্লার আপনার জন্য ভালো ইনকাম করার একটি উপায়।
বাগান তৈরি করার মাধ্যমে ইনকাম করা
মেয়েরা ঘরের কাজের সাথে সাথে আশেপাশে খোলা জায়গা থাকলে সেগুলোতে বিভিন্ন রকম শাক-সবজি বা ফলের বাগান করে ইনকাম করার একটি উপায় বের করতে পারে। আবার যদি ঘরের আশেপাশে জায়গা না থাকে ছাদ থাকে তবে ছাদের উপরেও বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলের গাছ টবে লাগিয়ে পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা যায়।
যা থেকে কিছু টাকা সংসারের খরচ থেকে বাঁচবে। বাড়ির পাশে জায়গাতে যদি বিভিন্ন রকম সবজি লাগানো হয় সেই সবজি পরিবারের চাহিদা মেটানো সম্ভব। এবং যদি বেশি পরিমাণে হয় তবে সেখান থেকে আপনি বিক্রি করে কিছু টাকা ইনকাম করতে পারেন।
গৃহপালিত পশু-পাখি পালন করে ইনকাম করা
অনেকেই পশুপাখি পালন করতে ভালোবাসেন। আপনার যদি জায়গা থাকে তবে আপনি পশুপাখি পালন করেও ইনকাম করতে পারেন। অনেক মেয়েরা আছে যারা বাড়িতে গরু ,ছাগল, হাঁস, মুরগি, কবুতর, এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির রয়েছে সেগুলোর খামার করেও ইনকাম করতে সক্ষম হয়েছে। গরু ছাগলের খামার করেও ইনকাম করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে পরিশ্রমী হতে হবে এবং বাড়ির আশেপাশের জায়গা থাকতে হবে বা বাড়ির মধ্যেও জায়গা থাকলে হবে।
টিফিন সার্ভিস করে ইনকাম
অনেকে আছে রান্না করতে অনেক ভালোবাসে এবং বিভিন্ন রকম রান্না করে যাদের রান্না খুব সুস্বাদু হয়। তারা টিফিন সার্ভিস এর কাজটি বেছে নিতে পারেন। টিফিন সার্ভিসিং করেও প্রতিনিয়ত মেয়েরা ইনকাম করে নিচ্ছে। বর্তমানে শহরে অনেক চাকরিজীবী মানুষ আছে যারা বাড়িতে খাবার তৈরি করার সময় না পাওয়ার কারণে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে অর্ডার করে থাকে।
আরো পড়ুন:থ্যালাসেমিয়া কি কেন হয় লক্ষন ও প্রতিরোধে করনীয়
তারা অনেক সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে চাই। রেস্টুরেন্টের খাবারের চেয়ে বাড়ির রান্না খাবার অনেকেই পছন্দ করে সে ক্ষেত্রে এটা একটি ভাল আয়ের উৎস হতে পারে। আবার অনেক চাকরিজীবী আছে যারা বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে আসে না। তারাও এ ধরনের সার্ভিস খোঁজে।মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় হিসেবে এটি কাজে লাগাতে পারে।
দর্জির কাজ করে ইনকাম
দর্জির কাজ করেও ইনকাম করা একটি জনপ্রিয় উপায়। আজকাল প্রায় জায়গায় সেলাইয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। আপনি যদি দর্জির কাজ শিখতে পারেন তাহলে আপনি ঘরে বসেই সেলাইয়ের কাজ করে ভালো পরিমান ইনকাম করতে পারেন। বর্তমানে দর্জির কাজ শেখানোর জন্য আপনার আশেপাশে এবং অনলাইনেও কাজ শেখায় এমন জায়গা থেকে প্রশিক্ষণ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু ইনভেস্ট করার মাধ্যমেই কাজটি শিখতে পারবেন।
জরুরি সামগ্রীগুলো অবশ্যই কিনতে হবে যেমন সেলাই মেশিন,কাঁচি,সুচ ও সুতা। আপনি যখন দর্জির কাজে পারদর্শী হয়ে যাবেন তখন আপনার আশেপাশ থেকেই অনেক মানুষ আসবে যে আপনাকে কাপড় সেলাইয়ের কাজ দিয়ে যাবে। তাহলে আপনি খুব সহজে এইভাবে ইনকাম করতে পারেন।মেয়েদের ঘরে বসে আয় করার উপায় হিসেবে এটি কাজে লাগাতে পারে।
লেখকের শেষ কথা
আমার এই আর্টিকেলে আমি আপনাদেরকে জানিয়েছি মেয়েরা ঘরে বসে কি কি উপায়ে ইনকাম করতে পারে।আপনারা আমার আর্টিকেলটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন তাহলে জানতে পারবেন খুব সহজে কিভাবে মেয়েরা ইনকাম করতে পারে। বাইরে না যেও ঘরে বসে যে অবসর সময়টা কাজে লাগিয়ে ইনকাম করা সম্ভব।
আরো পড়ুন:ইন্টারনেট আবিষ্কার করেন কে এবং কত সালে
আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং আপনারা অনেক উপকারিতা হয়েছেন। আমারে আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন আর্টিকেল পেতে আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন। এত সময় ধরে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url