শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব জানতে চান? তাহলে এ পোস্টটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এতে আপনারা জানতে পারবেন শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তির গুরুত্ব কিভাবে কাজ করে আসছে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা কতটুকু সম্ভব হয়েছে।

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অনেক। ঘরে বসে এখন শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য পাওয়া যায় স্কুল কলেজের যেকোনো পরীক্ষার তথ্য আমরা সহজেই পেতে পারি। এবং যেকোনো বিষয়ে সহজেই নোট করতে পারি। আমরা শিক্ষকের সাথে সহজেই যোগাযোগ করতে পারি তাই শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির যেমন সুবিধা রয়েছে যেমন অসুবিধা রয়েছে তাই আমাদের সবসময় উচিত হবে সঠিক নিয়মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতেই ICT কে বোঝায়।শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম ।আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এখন তো ইন্টারনেট ছাড়া জীবনযাত্রা চালানো যায় না। প্রতিটা কাজেই আমাদের ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। বিভিন্ন তথ্য সংরক্ষণ করা যায়। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করা যায়। ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা খুবই প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ICT। এখন প্রতিটা স্কুলেই আইসিটি নামে একটি সাবজেক্ট থাকে। আইসিটি হল তথ্য উৎপত্তি সংরক্ষণ প্রক্রিয়াকরণ সঞ্চরণ এবং ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত কম্পিউটার যোগাযোগ এবং মিডিয়া প্রযুক্তি একটি বিশাল পরিষদ। তথ্যপ্রযুক্তি হচ্ছে কোন ডিভাইস যার সাহায্যে ডাটা ডিভাইসের মাধ্যমে জমা রাখা যায় প্রয়োজনে সেটা খুঁজেও পাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে প্রসেসরের তথ্য ব্যবহার করে বের করা যায়। 

যোগাযোগ প্রযুক্তি বলতে বিভিন্ন ডিভাইস আলাদা লোকেশন থাকার পরেও একে অপরের সাথে যে পদ্ধতি সাহায্যে যোগাযোগ করা যায় সেটাই হচ্ছে যোগাযোগ প্রযুক্তি। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনে অতি প্রয়োজনীয়।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি গুরুত্ব ব্যাখ্যা অপরিসীম। যত বলা যায় এটা কম। কারণ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা খাতে, কৃষি খাতে, কর্মখাতে, রোগ বালাই দমন ,উৎপাদন কৌশল, বাজারজাতকরণ ,ইন্টারনেট সেবা, ব্যবসা খাদে ,যোগাযোগ, গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

শিক্ষাক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এক বিশাল গুরুত্ব রাখছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্কুল কলেজের বিভিন্ন বিষয় বিভিন্ন পরীক্ষার সময় জানা যায়। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ঘরে বসেই পড়ালেখার জন্য যোগাযোগ করতে পারে। বড় বড় সমস্যা দ্রুত সমাধান দিতে পারে। ক্লাসের সময় ক্লাসের বিষয়ে নানারকম তথ্য সরবরাহ করা যায়। অনেকেই আছেন বাইরে যে ক্লাস করতে না চাইলে ঘরে বসে ক্লাস করার সুবিধা রয়েছে অনলাইন।

এখন অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন রকমের কোর্স যেগুলো আপনারা অনলাইনে ঘরে বসেই শিখতে পারেন। অনেকে ইংলিশ শিখতে চান এটা অনেক বড় সুবিধার যে অনলাইনের মাধ্যমে শেখা যায়। আবার অনেকে আমরা কম্পিউটার শিখতে চাই সে ক্ষেত্রেও অনলাইনে শেখার সুবিধা রয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগের অনেক উপকারী একটি দিক হল যে কোন তথ্য আমরা রেকর্ড করে রেখেও পরে সেটা দেখে শেখার সুযোগ পায়।

দৈনন্দিন জীবনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। এখন প্রতিটা মানুষই ইন্টারনেটের উপরে নির্ভরশীল। ইন্টারনেট ছাড়া কোন দিন মানুষের চলে না। আগে মানুষ শুধু টিভি দেখতো টিভিতে সবকিছু কিন্তু এখন টিভি ছাড়াও আরো ডিভাইস রয়েছে মোবাইল আছে কম্পিউটার আছে ল্যাপটপ আছে যার মাধ্যমে আমরা সহজেই সব বিষয়ে তথ্য পেতে পারি । 

এবং যোগাযোগ করতে পারি। আগে মানুষ লাইব্রেরী থেকে বই কিন্তু বই পড়তো লাইব্রেরীতে গিয়ে অনেকগুলো বই ঘাটাঘাটি করে একটা নোট করতো। এখন লাইব্রেরী থেকে বই পড়লেও হয় আবার অনেকেই বাইরে যেতে পারে না সময় স্বল্পতার কারণে তাই মোবাইলেই ঘাটাঘাটি করে তথ্য খুঁজে বের করে নোট করা যায়। মানুষ যেকোন তথ্য সহজেই খুঁজে বের করতে পারে।

এখন ব্যাংকে যাবতীয় কাজ অনলাইনে কম্পিউটারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। অনেক সময় অনেক মানুষকে আমরা পরিচিত হলেও হারিয়ে ফেলি কিন্তু ফেসবুকের মাধ্যমে এখন সে মানুষকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব যদি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকে। ফেসবুক একটা যোগাযোগের মাধ্যম এবং তথ্য জানার মাধ্যম। আমরা দৈনিক দূরের মানুষের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে পারি। 

আবার বিশ্বের এক প্রান্তে বসে আরেক প্রান্তের খবর আমরা জানতে পারি। পৃথিবীটা এখন ছোট হয়ে এসেছে ।এই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন প্রান্তের খবর আমরা জানতে পারি।সবাই যে রান্না জানবে এরকম তো না অনেকেই এখন রান্না করতে জানে না। দেখা গেছে youtube এর মাধ্যমে সে রান্না বিষয়ে সার্চ দিয়ে জানতে পারা যায় এবং রান্না করে মানুষকে খাওয়ানো যায়।আবার খাবার খাওয়ার সময় খাবারের ক্যালোরি ভিটামিন সবকিছু আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে জানতে পারি।

শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সাহায্যে অতি সহজে স্কুল ও ক্লাসের সম্পর্কে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে। যেকোনো বড় বড় সমস্যার সমাধান করতে পারে।

গবেষণায় তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক সহজে গবেষণা করা যায়। কারণ বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে থাকে সেগুলো তথ্য সংরক্ষণ ও কঠিন ছিল কিন্তু এখন অত্যন্ত সহজ হয়ে গেছে। যে কোন তথ্য সংরক্ষণ করা যায় ও সহজে খুঁজে বের করা যায়। বর্তমানে বিভিন্ন রকম আধুনিক যন্ত্রপাতি রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে গবেষণা করা সহজ হয়ে গেছে এবং দ্রুত গতিতে।

বিনোদনের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আমরা ঘরে বসে বিনোদন উপভোগ করতে পারি। বিভিন্ন রকম সহজলভ্য দামে অনেক স্মার্টফোন বের হয়েছে যেগুলো মানুষের হাতে হাতে। এগুলো ব্যবহার করে অনেকেই এখন গান গেম ভিডিও ইত্যাদি দেখে বিনোদন উপভোগ করে থাকে। বিনোদন একেক জনা একেক রকম পছন্দ করে সেটা এখন আর একসাথে দেখাচ্ছে চাইতে সবাই আলাদা আলাদা ডিভাইসে আলাদা আলাদা বিনোদন উপভোগ করতে পারে।

চাকুরীর ক্ষেত্রে অনেক সময় পরীক্ষা সব বিষয়গুলো সব বই থেকে সহজে খুঁজে পাওয়া যায় না। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমরা খুঁজে বের করতে পারি মোবাইল দিয়ে যে পরীক্ষার কি পড়তে হবে। তা পড়ে আমরা চাকুরীর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে আমরা নতুন চাকরি পেতে পারি এবং নতুন নতুন সেক্টরে কাজ করার সুযোগ পেতে পারি নিজের স্কিল ডেভলপ করে।

ব্যক্তিগত জীবনের কাজের ক্ষেত্রে আমরা বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার সময় গাড়ি অর্ডার করতে পারি অনলাইনে। ঘরে বসে নিজের ইচ্ছামত শপিং করতে পারি ইচ্ছা মত রান্নার রেসিপি শিখতে পারি ও শিখে রান্না করতে পারি। বিভিন্ন খাবার বাইরে থেকে অর্ডার করতে পারি। অসুস্থ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারি। অনেকের সাথে দেখা যায় বাড়িতে যেয়ে দেখা করা সময়েরব্যাপার। তাই মোবাইলে যোগাযোগ করে নিতে পারি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আমাদের জীবনে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছে। তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সুবিধা গুলো আমরা জেনে নি।

তথ্য ও প্রযুক্তি ও যোগাযোগ প্রযুক্তি যেমন ভাল দিক আছে তেমন তার খারাপ হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে অনেক সময় অনেক খারাপ দিক কে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো জেনে নেয়া যাক।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে আমরা বিভিন্ন রূপকার পেয়ে থাকি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অবদান রয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির গুরুত্ব অনেক বেশি। এখনকার দিনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত চিন্তা করতে পারি না।

প্রিয় পাঠক এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে এবং পোস্টটি পড়ে যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে পোস্টটি অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে শেয়ার করতে পারেন।এরকম আরো বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য পেতে নিয়মিত আমার এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করতে পারেন ধন্যবাদ।