খরা মোকাবেলায় করণীয় কি কি

খরা মোকাবেলায় করণীয় কি কি সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমার এই পোস্টটি অবশ্যই আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন তাহলে জানতে পারবেন করা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।খরার কারণে কি কি সমস্যা হয় এবং এর কি প্রতিকার হতে পারে সে সম্পর্কে আমি এই পোস্টে বিস্তারিত ভাবে লিখেছি।
খরা মোকাবেলায় করণীয় কি কি

খরা একটি বিপর্যস্ত অবস্থা যা প্রাণী এবং মানব কুলের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর। বাইরের বিভিন্ন দেশে তখন দাবানল সৃষ্টি হয় এই খরার কারণে। তাই খরা সম্পর্কে বিভিন্ন মোকাবেলার মাধ্যমে প্রতিরোধ করা দরকার। তাই খরার প্রতি আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে যেন আমাদের জলবায়ু এবং আবহাওয়া ঠিক রাখতে পারা যায় ।এবং খরা মোকাবেলায় করণীয় যাবতীয় কাজ আমাদের সঠিক নিয়মে করা দরকার।

ভূমিকা

প্রতিটা দেশেই খরা হয়। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের খরাটা একটু ভিন্ন। করা হলে চারণভূমি সহ মানব কুলের সমস্যার সৃষ্টি হয়। খরা মোকাবেলায় কি কি করণীয় সেগুলো আমাদেরকে জানতে হবে। নদীর প্রবাহ গতি কমে যায় ভূগর্ভের পানি নিচে নেমে যায়। এতে ফসল ফলাতে সংকটে তে পড়তে হয়। চারিদিকে বিভিন্ন রকম রোগ দেখা দেয়। খরা মোকাবেলায় করণীয় যাবতীয় কাজ আমাদের করে খরা রোধ করতে হবে।

খরার কারণে কি কি সমস্যা হয়

খরার কারণে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় জনজীবনের।খরায় আবহাওয়া শুষ্ক থাকে বৃষ্টিপাত হয় না যার কারণে প্রচুর গরমের সৃষ্টি হয়।তাই খারাপ মোকাবেলায় করণীয় যেসব বিষয় আছে সেগুলো আমাদের করতে হবে।
  • এর ফলে বিভিন্ন রকম রোগ এবং নানাবিধ সমস্যা দেখা দেয়। আসুন আমরা সেগুলো জেনে নি।
  • বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যায় না তাতে পানির সংকট দেখা দেয়।
  • নদীর প্রবাহ কমে যায়।
  • ভূগর্ভস্থলের পানি পাওয়া যায় না কারণ সে পানি একেবারে নিচের তলে চলে যায়।
  • গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয়। কারণ খরার কারণে চারণ ভূমি মরুভূমিতে পরিণত হয়।
  • ফসলের মাঠে পানির অভাবে ফসল ফলাতে সংকটে পড়তে হয়।
  • চারণভূমির যে ভূমিতে পশু পালন করা হয় তার খাদ্য সংকটের পড়ে যায় কারণ চাষাবাদের জন্য পানির প্রয়োজন তা পরিপূর্ণ পাওয়া যায় না।
  • মাটির আদ্রতা কমে যায়।

খরা কি

খরা হচ্ছে জল সরবরাহের দীর্ঘস্থায়ী ঘাটটির একটা ঘটনা যা বায়ুমণ্ডলের ভূপৃষ্ঠের জল বা ভূগর্ভস্থ জল হতে পারে। খরা এক মাস বা এক বছর স্থায়ী হতে পারে এটি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলের কিসের ওপর বেশি প্রভাব পড়ে অর্থনৈতিক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।তাই খারাপ মোকাবেলায় করণীয় যেসব বিষয় আছে সেগুলো আমাদের করতে হবে। 

দীর্ঘকালীন শুষ্ক আবহাওয়া ও অনিয়মিত বৃষ্টিপাতের কারণে যতটা বৃষ্টির দরকার তা না হয়ে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে যে আবহাওয়া সৃষ্টি হয় সেটাই হচ্ছে খরা। খরার সময় খাল বিল নদী নালা শুকিয়ে যায় পানির অভাব দেখা দেয়। যার ফলে ফসলের ক্ষেতে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায় না গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দেয় তখন সে ক্ষেত্রে সরাসরি বৃষ্টির উপরে জনগোষ্ঠী নির্ভর করে। 

ফসল জন্মানোর সময় যখন সে পরিমাণ পানি পাওয়া যায় না অর্থাৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় আদ্রতা চাইতে জমিতে কম আদ্রতা থাকে তখন সেই সময়কে খরা অবস্থা বলা হচ্ছে ।বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলীয় খরা বেশি দেখা দেয়। রাজশাহী বিভাগ নাটোর রংপুর পাবনা বগুড়া জয়পুরহাট ও নওগাঁ জেলা সমূহে খরা বেশি দেখা দেয়। এ অঞ্চল গুলোতে বৃষ্টিপাত কম হয়। বিভিন্ন বছরে বিভিন্ন রকম বৃষ্টিপাতের অনুপাত রেকর্ড করা রয়েছে। আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের দৃষ্টিকোণ থেকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়েছে একটি হচ্ছে স্থায়ী খরা শুল্ক জলবায়ু ও মৌসুমী খরা।

খরার কারণ ও ফলাফল

বাংলাদেশের জলীয় ও জলবায়ু গ্রন্থ বৈশিষ্ট্যের কারণেই মৌসুমের অতিরিক্ত পানি আর শুকনা মৌসুমে কম জল সরবরাহ করা সৃষ্টির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া নদী ভারত ও মায়ানমার থেকে দেশে ঢুকেছে এক্ষেত্রে অধিকাংশ উত্তর-পশ্চিম ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চল দিয়ে এ দেশে প্রবেশ করেছে। 

জল ব্যবস্থাপনা কটন নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের উজান এলাকায় পানি প্রত্যাহারের কারণে এসব নদীর স্বাভাবিকভাবেই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধ এবং বাংলাবান্ধার উত্তরে পুনর্বার ও তিস্তা নদীতে এ ধরনের বাধ ও জল কাঠামোর প্রভাবে নদীর প্রভাবটা হারিয়ে ফেলছে। উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে পানি সর্পতা ছাড়াও ভূ গর্ভস্থল পানি পুনর সঞ্চরণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে যার ফলে বাংলাদেশের দুই অঞ্চলেই খরা দেখা দিচ্ছে।

খরার ফলাফল

খরা হচ্ছে এমন একটি অবস্থান যখন বৃষ্টি না হয় তখন সেটাকে খরা বলে ধরা হয়। খরার সময় মানুষসহ উদ্ভিদ প্রাণী সবারই পানি সরবরাহ করা যায় না অনেক সমস্যা দেখা দেয়।তাই খরা মোকাবেলায় করণীয় যেসব বিষয় আছে সেগুলো আমাদের করতে হবে।
  • অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে খরার কারণে শিল্প গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
  • স্বাস্থ্য সমস্যা করার কারণে মানুষের বিভিন্ন রকম রোগ মুখে পড়ছে যেমন ডায়রিয়া কলেরা ও অন্যান্য রোগ।
  • পানি সংকট খরার কারণে পানি সংকটে পড়ছে শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রেও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে।
  • কৃষি ক্ষেত্রে খরার কারণে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় যা খাদ্যের সংকটের এবং দামে বৃদ্ধি ঘটছে।
  • পরিবেশগত ক্ষেত্রে খরার কারণে বিভিন্ন গাছপালা ও প্রাণী মৃত্যুর দিকে ঢলে পড়ছে এতে মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
  • জলবায়ু পরিবর্তনের খরার কারণে জলবায়ু পরিবর্তন ঝুঁকি বাড়ছে।

খরার মানবসৃষ্ট কারণ

খরা সৃষ্টি করার মূলে মানুষও রয়েছে। মানব সৃষ্ট কারণেও খরা সৃষ্টি হয়। আসুন আমরা জেনে নি।
  • এখন মানুষ অনেক বড় বড় গাছ কেটে ফেলছে। বিভিন্ন বাড়িঘর এবং রাস্তা করার কারণে গাছ কেটে ফেলছে যে গাছ মাটির মাধ্যমে পানি ধরে রাখতে সাহায্য করে।সেই বড় বড় গাছ যখন কেটে ফেলছে তখন সেখান থেকেও খরা সৃষ্টি হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
  • অতিরিক্ত ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে যেগুলো ইট দিয়ে তৈরি হয়। অতিরিক্ত ইটভাটা তৈরি করা হচ্ছে যার কারণেআবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তন।
  • পুকুর ভরাট করার কারণেও খরা তৈরি হয়।
  • কারখানার মাধ্যমেও খরা তৈরি হয়। কলকারখানার যে দূষণ রয়েছে তা তাপমাত্রা বৃদ্ধি করছে।

খরা মোকাবেলায় করণীয়

খরা মেকাবেলার জন্য আমাদের নিজেদেরই কিছু করণীয় কাজ রয়েছে আসুন আমরা জেনে নি।
  • পানি ব্যবহার করতে হবে প্রয়োজন অনুপাতে যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই।
  • জমি চাষ করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সেটি গভীর করে চাষ করতে হবে।
  • পুকুর খনন ও খাল খনন করতে হবে। এখন অনেক জায়গায় পুকুর ভরাট করে বাড়ি করে নিচ্ছে এতে করার প্রভাব পড়তে পারে তাই আমাদের ঘন ঘন পুকুর খনন করতে হবে।
  • কৃষি ক্ষেত্রে আমরা যে রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকি তার বদলে আমাদের জৈব সার ব্যবহার করা উচিত।
  • বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে যেন শিকড় মাটির গভীরে প্রবেশ করে।
  • বৃষ্টির সময় হলে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে হবে।
  • এলাকায় নলকূপ না থাকলে সেই এলাকাতে পানির দূষিত পানির জন্য গভীর নলকূপের ব্যবস্থা করতে হবে।
  • জমিতে পানির অপচয় কমাতে হবে।
  • যে সকল জমিতে আগাছা ও জঙ্গল রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করে রাখতে হবে যেন সঠিক ফসল চাষ করা যায় এবং সেখানে পানি সরবরাহ করা যায়।

খরা কত প্রকার ও কি কি

এলাকায় যদি স্বাভাবিক বৃষ্টির চাইতে বৃষ্টিপাতের অনুপাত কম দেখা যায় এবং পানি সংকট দেখা যায় সেই সময়ের ব্যবধান কেই বলা হয় স্বাভাবিকভাবে খরা।
খরা সাধারণত দুই প্রকার। যথা
  • চরম খরা ও 
  • আংশিক খরা।
  • চরম খরা ১৫ দিন ০.২ মিলিমিটার এর কম বৃষ্টিপাত হলে তাকে চরম খারাপ বলা হয়।
  • আংশিক খরা কোন জায়গার ২৯ দিন০.২ মিলিমিটার এর চেয়ে কম বৃষ্টিপাত হলে তাকে আংশিক খরা বলা হয়।
আবার চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।যথা
  • আবহিক খরা কোন একটি এলাকায় নির্দিষ্ট ঋতুতে নির্দিষ্ট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৭৫% কমে যায় তাহলে সেই অঞ্চলকে বলা হয় আবাহিক খরা অন্তর্ভুক্ত।
  • জলজ খরা বৃষ্টিপাত কম হয় তার কারণে নদীর স্রোতে তুলনায় স্রোত কমে যায় ফলে পার্শ্ববতি অঞ্চলে পানি সরবরাহ কমে যায় তখন তাকে জলজ করা বলে।
  • কৃষিজ খরা পানির অভাবে স্বাভাবিক আদ্রতা মাটির কমে গেলে তাকে কৃষিজ খরা বলে।
  • আর্থসামাজিক করা আর্থসামাজিক করা হচ্ছে আর্থিক সামাজিক ক্রিয়া-কলাপ সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করা পানি কম থাকার কারণে এ করা সৃষ্টি হয়।
আবার খরার কারণ অপকারভেদদের নিয়ম অনুযায়ী করাকে পরিবেশবিদরা পাঁচ ভাগে ভাগ করেছে
করা সৃষ্টির অন্যতম কারণ হলো আবহাওয়ার পরিবর্তন।
  • সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব যত বাড়ে খরাও তত বৃদ্ধি পায়।
  • কোন অঞ্চলের শীতল প্রভাবের কারণে সে অঞ্চলের খরা সৃষ্টি ও সহনা বেশি।
  • যে অঞ্চলের পাশে বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে ও খরা সৃষ্টি হয়।
  • গাছ কাটার কারণে খরা সৃষ্টি হয় অতিরিক্ত গাছ কাটার কারণে বৃষ্টিপাত কম হয়।
  • বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে খরার প্রভাব দেখা যায়।১৯৪৭-১৯৭৯ ১৯ সাল পর্যন্ত কোন খরা বাংলাদেশে দেখা যায়নি। তবে বরেন্দ্রভূমিতে ঘন ঘন করার প্রভাব দেখা যায় এ সময় অনেক দুর্ভিক্ষ মানুষের প্রাণ হারান।

লেখকের মন্তব্য

আমি এই আর্টিকেলে খরা সম্পর্কে লিখেছি।খরা মোকাবেলায় করণীয়,করা কারণে কি কি সমস্যা হতে পারে , করার ফলাফল সহ বিভিন্ন বিষয়ে খরা সম্পর্কে এই আর্টিকেলে করলে আপনারা জানতে পারবেন। করা ভীষণভাবে আমাদের ক্ষতি করে। যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আমাদের কিছু করণীয় কাজ আছে সেগুলো নিয়ম মত আমাদের করতে হবে।

প্রিয় পাঠক আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা আপনাদের বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং নিয়মিত আমার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন আরো নতুন নতুন বিষয়ে জানার জন্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;

comment url