ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম

ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম জানতে চান? তাহলে আমার এই পোস্টটি আপনাদের জন্য অনেক উপকৃত হবে। আমার এই পোস্টে আপনাদের জন্য গ্রিন টি সম্পর্কে জানানো হবে আসল গ্রিন টি চেনার উপায় সম্পর্কেও বিস্তারিত জানাবো। তাই আমার এই পোস্টটি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

আপনারা যদি ওজন কমাতে চান তাহলে অবশ্যই ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী আপনারা বানিয়ে খেতে পারেন। গ্রিন টির অনেক উপকারিতা রয়েছে কিন্তু কোন কিছুই অতিরিক্ত মাত্রায় ভালো না তাই অতিরিক্ত গ্রিন টি না খেয়ে পরিমাণমতো খাওয়া দরকার নতুবা অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।

ভূমিকা

গ্রিন টি খেয়ে আপনারা ওজন কমাতে পারেন। তবে আসল গ্রিন টি চিনে সেটা কিনতে হবে।কারণ বাজারে আসল ও নকল দুই রকমই গ্রিন টি রয়েছে। সঠিক গ্রিন টি আপনাদের বেছে নিতে হবে। এবং গ্রিন টি খাওয়ার নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের খেতে হবে। কোন গ্রিন টি ভালো সে অনুযায়ী দেখতে হবে যে খোলা যেই গ্রিন টি পাওয়া যায় সেটার পাতাগুলো হাতে নিয়ে দেখতে হবে পাতাতে কি রকম।

এবং টি ব্য়াক পাওয়া যায় লক্ষ্য রাখতে হবে পাতা আছে কিনা এবং পাতা গুলো কি রকম।গ্রিন টি যখন তখন খেলে হবে না, এবং ৯-১০ বার খেয়ে ওজন কমবে মনে করে অনেকেই আপনারা খেয়ে থাকেন। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। প্রতিদিন ৪-৫ বার এর বেশি খাওয়া ঠিক না।তাই আপনারা কি ওজন কমাতে চান তাহলে ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে।

ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম

এখনকার সময় ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ আশেপাশের খাবারগুলো এত লোভনীয় যে না খেয়ে থাকা যায় না। বিভিন্ন রকম জাঙ্ক ফুড স্ট্রিট ফুড চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে মানুষ ওজন বৃদ্ধি করে ফেলছে। যার কারণে আমাদের শরীরে এত চর্বি বেড়ে যায় যে আমাদের বিভিন্ন রকম রোগ বৃদ্ধি পায়। গ্রিন টি ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়িয়ে চর্বিকে কমাতে সাহায্য করে। গ্রিন টি তে রয়েছে বিভিন্ন রকম ভিটামিন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম সেলেনিয়াম জিংক এছাড়া বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যা শরীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে।অনেকেই গ্রিন টিম কিভাবে খেতে হয় তার নিয়মটা ঠিকমতো জানেনা অনেকেই আছে খাবার পরে খাই। 

আবার অনেকেই আছে খালি পেটে সকালে উঠে খায় এটা ঠিক নয়। এটা উল্টা ক্ষতি করতে পারে।ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম মেনেই খাওয়া দরকার।তাই গ্রিন টি খাওয়ার সঠিক নিয়ম মেনেই পান করা দরকার। দিনে মধ্যে ৩-৫ বার গ্রিন টি খেতে পারেন।আবার অনেকেই মনে করে৮-৯ বার খেয়ে তাড়াতাড়ি ওজন কমাবো। 

কিন্তু এটা ভুল ধারণা এতে ক্যাফেন থাকায় আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন।ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্রেকফাস্ট করে কয়েক ঘন্টা পরে গ্রিন টি খাবেন এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পনিফেলন থাকে যা এসিডিটি উপাদান বাড়তে দেয় না।যেকোনো ভারী খাবারের দুই ঘন্টা আগে বা দুই ঘন্টা পরে গ্রিন টি টা খেতে পারেন এতে অনেক ভালো কাজ দিবে। 

গ্রিন টি কখনোই খুব গরম খাবেন না একটু গরম কম হলে খাবেন তাতে স্বাদটা ভালো হয়। গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনেকেই ভুল করে ফুটন্ত গরম পানিতে মধু দিয়ে দেয় এতে গ্রিন টির গুনাগুন কমে যায়। পানি হালকা ঠান্ডা হলে আপনি মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে খেতে পারেন। আর চিনি না দেয়াই ভালো আপনি যদি ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খান তবে চিনি দিবেন না। 

অরো পড়ুন:ডিটক্স ওয়াটার বানানোর নিয়ম জানুন

অফিসের জন্য তাড়াহুড়া করে যাচ্ছেন তখন গ্রিন টি বানিয়ে পান করছেন এটা ভুল কারণ গ্রিন টি সবসময় একটু বিশ্রাম নিলে ভালো হয়। আর যদি এরকম অভ্যাস থাকে যে দুইটি ব্যাগ একসাথে দিয়ে আপনার খারাপ ভাষা থাকে তাহলে সেটা বন্ধ করে দেন আপনি একটি টিব্যাগ দিয়েই খাবেন। গ্রিন টি বানানোর নিয়ম মেনে এবং খাওয়ার নিয়ম মেনে যদি আপনি খান তবে অবশ্যই আপনার ওজন কমবে।

কোন গ্রিন টি ভালো

এখন তো বাজারে বিভিন্ন রকম গ্রিন টি পাওয়া যায়। তবে আসল ও ভালো গ্রিনটি খুঁজে পাওয়া খুব কষ্টকর। কারণ এখন ভেজালের দুনিয়াতে সব কিছুই মধ্যে ভেজাল রয়ে গেছে। অনেক নকল ও ভেজাল বের হয়েছে যা আমরা পান করলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারি বা ওজন কমানোর গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী যদি খেতে চাই তাতেও কোন কাজে আসবে না।তাই ভালো গ্রিন টি দেখে কিনতে হবে।বাজারে খোলা গ্রিন টি পাওয়া যায় যেগুলোতে পাতা আছে। 

সেই পাতাগুলো হাত দিয়ে দেখে নেড়ে বুঝে নিতে হবে। কালচে কালার সাদা পড়ে গেছে এরকম গ্রিন টি কেনা যাবে না। আবার অনেক রকম কোম্পানি আছে যে কোম্পানির গ্রিন টি গুলা অনেক ভালো।তবে অর্গানিক আর নন অর্গানিক দেখে আপনারা গ্রিন টি কিনতে পারেন। নন অর্গানিক গ্রীন টি তেরয়েছে রাসায়নিক মৌল যা অনেক ক্ষতি করতে পারে। অর্গানিক গ্রীনটিতে কোন ক্ষতি করে না। তাই আপনাদের দেখে নিতে হবে এটা অর্গানিক গ্রিন টি কিনা।

আসল গ্রিন টি চেনার উপায়

এখনকার বাজারে আসল নকল সহজেই কোন জিনিস চেনা যায় না। গ্রিন টির ক্ষেত্রেও তাই আসলে নকল চেনা উপায় গুলো জেনে আমাদের গ্রিন টি কিনতে হবে। এবং ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি নিয়ম মেনে খেতে হবে। কারণ গ্রিন টি বাজারে নকল আছে তাই আসল গ্রিনটি চিনে কিনতে হবে। আসুন আসল গ্রিন টি চেনার উপায় নিন।
  • পাতার আকার সাধারণত যেটা টি ব্যাগ সেটা আসল বা অরিজিনাল না। শুকনো পাতা আছে সেটি কিনতে হবে । শুকনো পাতার স্বাদ ও গুণ উন্নত মানের। কচি পাতারও গ্রিন টি হয় আবার ওপরের মাঝামাঝি পাতারও গ্রিন টি পাওয়া যায়। অনেক সময় ছোট ছোট আকারে থাকে।
  • পাতার রং গ্রিন টি সবুজ দেখায় কারণ এতে অক্সিডেশনে থাকে না ক্লোরোফিল। বাগান থেকে তুলেই সেই পাকা পাতাকে শুকিয়ে প্যাকেট করা হয় যা রং ভালো থাকে। গ্রিন টি দেখতে অনেকটা হালকা সবুজ রঙের হয়।
  • অনুভূতি কিভাবে বুঝবেন এটি অরিজিনাল কিনা সেটা হাতে ধরে দেখলে বোঝা যাবে। পাতা হাতে নিয়ে দেখবেন সেটা ভেঙ্গে যাচ্ছে কিনা মুড়মুড়ে হচ্ছে কিনা তাহলে বুঝবেন এটা পুরাতন ছাতা পড়ে আছে কিনা সেগুলা দেখে কিনবেন। পাতা পানিতে দিলেই সেটা আস্তে আস্তে মিষ্টি শুরু করে এবং মসৃণ হয়ে যায়। ওজন কমাতে চাইলে ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী আপনারা চা বানিয়ে খেতে পারেন এতে ভালো উপকার দিবে ।

গ্রিন টি এর উপকারিতা ও অপকারিতা

অনেক উপকারিতা রয়েছে। শারীরিক মানসিক হৃৎপিণ্ড ইত্যাদিতে গ্রিন টি ব্যবহার হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। আসুন আমরা জেনে নিই কিভাবে গ্রিন টি আমাদের উপকার করে কোন কোন বিষয়ে সেগুলো আমরা জেনে নি।
  • মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হিসেবে মস্তিষ্কের কষ্টে ক্ষতিগ্রস্ত হতে সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।মানসিক চাপ কমায় পেশিকে ধীর স্থির করে রাখে।
  • ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে অনেক উপকারে আসে।বিশ্বের ৯.৪% মানুষ ডায়াবেটিস রোগে ভুগছে দিন দিন এর হার বেড়েই চলেছে। গবেষণা করে দেখা গেছে যে গ্রিন টি অভ্যস্ত মানুষরা ডায়াবেটিস এর হার কমে গেছে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধক অনেক সহায়ক ভূমিকা পালন করে। গ্রিন টির মধ্যে রয়েছে এন্টি অক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। এই ক্যান্সার গুলো বিভিন্ন রকম ক্যান্সার হতে পারে যেমন স্তন ক্যান্সার, গলার ক্যান্সার,জরায়ু ক্যান্সার, ত্বকের ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার ইত্যাদি।
  • আহারের সুরক্ষায় আর্থ্রাইটিস এর কারনে আমাদের হারের অনেক সমস্যা হয় এবং চলাফেরাতে আমাদের সমস্যা দেখা দেয়।হাড়ের ক্ষয় রোধ হয়। মাংসপেশিরো ব্যথা কম হয়।
  • চুলের যত্নে গ্রিন টি অত্যন্ত উপকারী ।গ্রিন টি তৈরি করে ঠান্ডা করে চুলের শ্যাম্পু করার পরে সেই পানি দিয়ে ধুলে চুল উজ্জ্বল ঝলমলে দেখায়।
  • শরীরের চর্বি কমতে সাহায্য করে এবং পেটের চর্বিও কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিনটির অপকারিতা

গ্রিন টি পান করা অনেক উপকারী এতে অনেক উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত পান করলে তা ক্ষতিও হতে পারে এজন্য সঠিক নিয়ম মেনে আপনাদের গ্রিন টি পান করা উচিত। আসলেই কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো না নিয়মমাফিক সবকিছু মেনে খাওয়া উচিত।
  • গ্রিন টি খাওয়াতে অনেক সময় ঘুমের সমস্যা হয়। অনিদ্রা দেখা দেয় তাতে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
  • হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে খাবার আগে বা পরে খেলে এতে হজমে ব্যাঘাত ঘটায়।
  • লিভারের ক্ষতি হতে পারে।
  • মাথা ব্যথা ও মাথা ধরা বেড়ে যেতে পারে।
  • ঘন ঘন প্রসাব ও পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে।

গ্রিন টি কখন খেলে ওজন কমে

গ্রিন টি যখন তখন খাওয়া যাবে না। ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী খেতে হবে তাহলে ওজন কমবে। খেয়াল রাখতে হবে আপনাদের যে খাবার পরপরই গ্রিন টি খাবেন না। এবং ঘুমানোর আগেই গ্রিন টি খাবেন না। কারণ এতে অনিদ্রা সৃষ্টি হয়। তাতে শরীর অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। মাথা ব্যথা শুরু হয়ে যেতে পারে।

তাই ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী আপনাদের গ্রিন টিপ পান করা উচিত। এতে আপনাদের ওজন ও মেদ কমবে কাজেও শক্তি বাড়বে। ব্যায়াম করার আধ ঘন্টা আগে গ্রিন টি খেতে পারেন। খাবার আগে বা পরে সেটা টাইম মেনে খেতে হবে। খাবার দুই ঘন্টা আগে বা খাবার দুই ঘন্টা পরে গ্রিন টি খেলে অনেক উপকারে আসে। 

আরো পড়ুন:আপেল সিডার ভিনেগার উইথ মাদার খাওয়ার নিয়ম

বা খাবার এক ঘণ্টা আগে বা খাবার একঘন্টা পরে আপনারা গ্রিন টি খেতে পারেন। আর রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বলতে দুই ঘন্টা আগে খেতে পারেন কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার কিছুক্ষণ আগে খাবেন না। গ্রিন টি তে কোন চিনি বা দুধ মিশিয়ে খাবেন না এতে আপনার ওজন কমবে না।

লেখকের শেষ কথা

আপনারা জানতেই পারলেন যে ওজন কমাতে গ্রিন টি ও খাওয়া যায় এবং সঠিক গ্রিন টি চিনে ওজন কমাতে গ্রিন টি বানানোর নিয়ম অনুযায়ী খেতে পারেন। গ্রিনটি অনেক উপকারে আসে।আপনারা অনেকেই গ্রিন টি সম্পর্কে জানেন না ইচ্ছামত চিনি দিয়ে খেয়ে ফেলেন। ওজন কমাতে চাইলে চিনি ব্যবহার করা যাবে না। এবং অতিরিক্ত গরম থাকা অবস্থায় খাওয়া যাবে না।

আরো পড়ুন:বিশ্বের সেরা ১০ সুপার ফুডের তালিকা

প্রিয় পাঠক আশা করি আমার এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন। আমার পোস্টটি অবশ্যই আপনার বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;

comment url