মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই পোস্টে যেটা পড়ে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন এবং এক মাসে কিভাবে ১০ কেজি ওজন কমানো যায় ও এক মাসে পাঁচ কেজি ওজনের ডায়েট চার্ট ইত্যাদি বিষয়ে এই পোস্টে আলোচনা করব। আমাদের ওজন বেড়ে গেলে কাজ করতে অনেক কষ্ট হয় এবং অনেক অসুখ শরীরে বাসা বাঁধে।


হার্টের সমস্যা দেখা দেয় আমরা হাঁটাচলা করতে কষ্ট পাই। অতি তাড়াতাড়ি হাঁটতে পারি না সিঁড়িতে উঠানামা করতে পারি না। এবং নিঃশ্বাসেও আমাদের কষ্ট হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস চলাচলে অনেক সমস্যা দেখা দেয়। আমাদের শরীরের সৌন্দর্যটা নষ্ট হয়ে যায়। মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট নিয়মিত মেনে চললে আমাদের ওজনটা কমানো সম্ভব। তার সাথে সৌন্দর্যটাও বৃদ্ধি হবে।

ভূমিকা

আমরা বিভিন্ন রকম ডায়েট চ্যাটের মাধ্যমে ওজন কমাতে পারি।মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট সেটা মেনে চলতে পারেন। আমরা বাইরের জিনিস বেশি খেতে পছন্দ করি ফাস্ট ফুড টাইপের খাবার তেলে ভাজা খাবার সফট ড্রিংক এগুলা বর্জন করে ডায়েট চ্যাট এর মাধ্যমে আপনাদের ওজন কমাতে পারেন।বাসি খাবার খাওয়া যাবেনা বাইরে রাস্তার খাবার খাওয়া যাবে না।

বিভিন্ন রকম ডায়েট চার্ট আছে আপনি নিয়ম যেটা মেনে চলতে পারবেন সেভাবে আপনি ডায়েট চার্ট ফলো করবেন। কয়েক রকম ঔষধ আছে সেগুলো খেয়েও ওজন কমানো যেতে পারে কিন্তু যেটাই ফলো করবেন সেটা ডাক্তারের পরামর্শে গ্রহণ করবেন। অন্যথায় শারীরিক কোন সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।

১ মাসে ১০ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট দেখে এক মাসে 10 কেজি ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু আজ থেকে শুরু করলে যে কমবে তা নয়। অনেক ধৈর্য ও পরিশ্রম ভাবে এবং ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজন। পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে কিন্তু পেট ভরে খাওয়া যাবে না। খাবারের তালিকায় বাইরের খাবার ভাজা পোড়া তেল জাতীয় চর্বি জাতীয় ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।আবার খেয়াল রাখতে হবে খাবার যেন না খেয়ে থেকে ওজন কমানো যাবে না।

এতে শরীর দুর্বল হয়ে যাবে আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন।তাই নিয়ম মাফিক খেতে হবে আর পুষ্টিকর খেতে হবে। যদি বেশি সমস্যা হয় সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারে।আবার যদি শারীরিক কোন সমস্যা থাকে কিডনির সমস্যা হার্টের সমস্যা ইত্যাদি সমস্যার জন্য আপনি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডায়েট চ্যাট করবেন।আপনি ঠিকমতো পরিশ্রম করলেন।

কিন্তু খাবারটা খেলেন হাই প্রোটিন যেটাতে অনেক ক্যালরি আছে তাহলে আপনার সেই পরিশ্রমের কোন দাম থাকলো না।পুনরায় আপনার যে পরিমাণ ওজন সেটাই থেকে যাবে তার চেয়ে কমবে না এতে কোন লাভ হবে না আপনার।আপনি ওজন কমানোর জন্য আপনি ১০ মিনিট হাঁটলেন যে খাবারটা খেলেন সেটা অনেক ক্যালরি তাতে আপনার ওজন কমবে না। 

আপনাকে ক্যালোরি কম পুষ্টিকর খাবার চিনে খেতে হবে আর যে খাবারই খান না কেন পেট ভরে খাবার খাওয়া যাবে না ৬০%কম খেতে হবে্।দিনে খাবার খাওয়ার পর যতটা সম্ভব হাঁটার চেষ্টা করবেন। পরিমাণ মতো ঘুমানোর চেষ্টা করবে দিনে ঘুম কম হয় ভালো। রাতের ঘুমটা ঠিকঠাক যেন হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। 

রাতের ঘুম কম হলে শুধু ওজনই বাড়বে না সাথে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা সার্কেল হতে পারে চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে যাবে শুধু কি তাই চুল পড়া শুরু করবে রক্তস্বল্পতা দেখা দিবে ইত্যাদি।সেজন্য রাতে অন্তত ৭-৮ঘণ্টা ঘুমাবেন।এবার দেখি কিভাবে এক মাসে ১০ কেজি ওজন কমানো যায় তার ডায়েট চার্ট
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এক গ্লাস উৎস গরম পানির সাথে একটা লেবু ও এক চামচ মধু দিয়ে মিশিয়ে পান করবেন।
  • তারপরে কিছুটা জগিং করতে পারেন বা ব্যায়াম করতে পারেন ব্যায়াম করার পরে সকালের নাস্তা টা করবেন।
  • সকালের নাস্তা একটা আপেল অথবা যে কোন একটা ফল কলা হলে ছোট সাইজের খাবেন কারণ কলাতে অনেক ক্যালরি থাকে। এটি সপ্তাহে চার দিন খাবেন।
  • আঁখি তিন দিন একটা পাতলা রুটি এবং একটা করে ডিম সিদ্ধ খেতে পারেন কিছুটা সালাদ খেলে ভালো উপকার আসে।
  • তারপরে দুপুরে খাবার জন্য মাঝারি একবাটি সবজি কিছু সালাদ সো এগুলো খেতে পারে বেশি ক্ষুধা লাগলে একটু ডাল বেশি করে নিয়ে মিশিয়ে খেতে পারে কিন্তু ভাত খাওয়া যাবে না। আর সপ্তাহে অন্তত একদিন ভাত খেলে এক কাপ ভাত খাওয়া যেতে পারে। আপনারা
  • পেঁপে সিদ্ধ টা ভালো উপকার দেয় আপনারা একবাটিতে সিদ্ধ খেতে পারেন তাতে ভালো উপকার পাবেন।
  • শাক সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো ,শালগম ,মুলা করলা মিষ্টি কুমড়া, পালং, গাজর লাউ শাক, পুঁইশাক ইত্যাদি ওজন কমাতে অনেক উপকারী্
  • সপ্তাহে অন্তত একদিন মুরগি খাওয়া যেতে পারে। সেটা হতে হবে মুরগির বুকের মাংস বেশি তেল দিয়া না হালকা তেল দিয়া খেতে পারেন।
  • সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন মাছ খেতে পারেন।বড় মাছ না খাওয়াই ভালো বড় মাছে অনেক তেল থাকে। বড় মাছ খেলে সব্জির সাথে খাবেন এবং মাছের উপরে তেলটা ফেলে দিলেন।
  • মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চাটে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে পিরিয়ডের সময় তারা যেন দুর্বল না হয়ে পড়ে। তাই সেক্ষেত্রে ডায়েটটা অফ রাখতে পারেন। তবে দুই তিনটা কলা খেতে পারেন কারণ কলাতে অনেক ক্যালরি থাকে এতে আপনার শারীরিক কোন সমস্যা হবে না।
  • সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ পানি খাবেন পানি খেলে পেট ভরে থাকে এবং ক্ষুধা কম লাগে ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
  • সন্ধ্যায় হালকা নাস্তা করবেন। এক গ্লাস নেব পানি খেতে পারেন তার সাথে হালকা কিছু স্ন্যাক তেল ছাড়া ও চিনি ছাড়া।
  • রাতের খাবার ৯ টার মধ্যেই শেষ করবে। খাবার শেষে এক গ্লাস লেবু পানি এবং সালাত খাবে।
  • ডায়েট চার্টের পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যা ব্যায়াম করবেন কিন্তু কার্ডেও ব্যায়াম করতে হবে ফ্রি হ্যান্ড হতে হবে।
  • ডায়েট চলাকালীন সময় আপনি বাদাম খেতে পারেন খেজুর খেতে পারেন এটা আপনার দুর্বলতা কম হবে।
কিছু সতর্কতা
ভাজাপোড়া টাইপের তেল জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
মিষ্টি জাতীয় কোন খাবার খাওয়া যাবে না।
তেলেভাজা কোন খাবার খাওয়া যাবেনা।
এই ডায়েট চারটা ধীরে ধীরে খাবারের অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। আর একভাবে খেতে শুরু করলে আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে তাই লক্ষ্য রাখবেন আপনি যেন অসুস্থ না হওয়ার সেক্ষেত্রে আপনাকে শুরুটা ধীরে ধীরে করতে হবে যখন আপনার শরীর সেটা অ্যাডজাস্ট হয়ে যাবে তখন আপনি পরিপূর্ণভাবে সেটা ফলো করবেন।

১ মাসে ৫ কেজি ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চাটের মধ্যে যদি এক মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমানো ডাক্তার ফলো করা যায় তাতেও এক মাসে পাঁচ কেজি কমতে পারে।সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে ক্যালরি যেন বেশি না খাওয়া হয়ে যায় শরীরে ১৫০০ ক্যালোরি না খাওয়া হয় তাহলে ওজন কমানো সম্ভব হবে না।আপনারা ডায়েট চাট ফলো করে এক মাসে পাঁচ কেজি ওজন কমাতে পারবেন।

কিন্তু সে জন্য লাগবে ঠিকমতো ডায়েট করা যেটা ধীরে ধীরে ফলো করতে হবে। যেন শারীরিক কোন সমস্যা না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠেই চিনি ছাড়া চা বা গ্রিন টি যেটাতে কোন ক্যালোরি থাকবে না সেটা খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • যখনই চা খাবেন চিনি ছাড়া খাওয়ার চেষ্টা করবেন, চিনি তে অনেক ক্যালরি থাকে চিনির বিকল্প নিতে পারেন।
  • তারপরে সকাল ৮টায় নাস্তা করবেন একটা ডিম সিদ্ধ যেটা সাদা অংশ হলে ভালো হয় এবং একটা রুটি।
  • তার সাথে সালাতো খেতে পারেন ।
  • দুপুর ১১টা থেকে বারোটার মধ্যে হালকা কিছু ফল খেতে পারেন যেগুলোতে ক্যালরি নাই ক্যালরি তুলনামূলকভাবে কম ।
  • দুপুর ১ থেকে ২টার মধ্যে দুপুরের খাবারটা সেরে ফেলবেন সেখানে এক বাটি ভাত, মিক্স সবজি এক বাটি, এক বাটি ডাল, এক পিস মাছ খেতে পারেন।
  • বিকেল ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে হালকা নাস্তা করবেন সেখানে পেস্তা বাদাম কিছু ফলখেতে পারেন। হালকা খাবার যেগুলোতে ক্যালোরি কম থাকে মোট কথাই সারাদিন ১৫০০ র বেশি ক্যালোরি শরীরে যেন না যায় সেই হিসাব করে খাবারগুলো খাবেন।
  • রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে রাতের খাবারটা সেরে ফেলবেন এখানে এক বাটি ভাত এক কাপ সালাত ১কাপ টক দই আধা কাপ সবজি এবং এক পিস মাছ খাওয়া যেতে পারে। অথবা আপনারা ভাত না খেয়ে একটা রুটিও খেতে পারেন।
  • এটা তো গেল ডায়েট চার্ট এভাবে খাবার খেতে হবে। ডায়েট এর পাশাপাশি আপনারা ব্যায়াম করতে পারেন। ঘরোয়া ভাবেই হাঁটাহাঁটি এবং কিছু ব্যায়ামের অভ্যাস করতে পারেন যাতে আপনার ক্যালরিটা ঝরে পড়বে।
সতর্কতা দ্রুত ওজন কমাতে গিয়ে যদি শারীরিক কোন সমস্যা হয় দুর্বলতা দেখা যায় তাহলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ডায়েট চারটা ধীরে ধীরে করা ভালো যাতে আপনার শরীরটা মানিয়ে নিতে পারে অন্যথায় আপনি অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন সে দিকে খেয়াল রেখে ডায়েট করবেন।

ওজন অনুযায়ী ডায়েট চার্ট

মোটা হলে অনেক কষ্ট হয়ে যায় শরীরের দিক দিয়ে। কারণ ভারী জিনিস তুলা কোন কাজ করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে যায়। এবং দেখতেও ভালো লাগে সৌন্দর্য কমে যায়। শরীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় অনেক রকম রোগ সৃষ্টি হয়। যেখানে মোটা মানুষ সিঁড়ি দিয়ে উঠানামা করতে কষ্ট হয়, হার্টের সমস্যা হয়, কিডনির সমস্যা হয়, শ্বাসকষ্ট জনিত কষ্ট হয়, একটু হাঁটলেই সে আর নিঃশ্বাস নিতে পারেনা।

তাই আমাদের ডায়েট চার্ট মেনে মোটা কমানো যেতে পারে।মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট ফলো করেও ওজন কমানো যায়।শরীরে কতটুকু ক্যালরি লাগবে আপনার উচ্চতা কত আপনার ওজন কত সেগুলো জেনে নিয়ে একটা ডায়েট চার্ট করা যেতে পারে।আপনি ওজনটা কতটুকু কমাতে চান এবং দিনে কতটুকু ক্যালরি আপনার শরীরে যাই এবং কতটুকু বান করতে চান সেগুলো খেয়াল রেখেই আপনার ডায়েট চার্ট ফলো করা দরকার।

আপনার ওজন উচ্চতা এবং বয়স এই তিনটা জেনে নিয়ে সঠিকভাবে কোন খাবারে কতটুকু ক্যালোরি আছে এটা জেনে ডায়েট চাট করে নিতে পারেন। মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট টা দেখে করতে পারেন।আপনি শুধু ডায়েট করলেই হবে না তার সাথে ব্যায়ামটাকে ধরে রাখতে হবে। ব্যায়ামের মধ্যে দৌড়,স্কিপিং, পুসআপ আরো কিছু ব্যায়াম আছে সেগুলো করতে পারেন।
  • আপনারা ক্যালরি হিসাব করবেন যেটা ১৫০০ শরীরে নিবে।
  • সকালের নাস্তা, দুপুরের খাবার ও রাতের খাবারের ক্যালোরি ৩৫০ থেকে ৪০০ যেন হয়।
  • বাকি যে ক্যালোরি গুলা আছে সেগুলো সারাদিনে অন্যান্য খাবারের সাথে হিসাব করে খাবেন।
  • ওজন কমানোর জন্য গ্রিন টি খাবেন।
  • লাল আটার রুটি খাবেন চালটাও লাল খেলে ভালো হয়।
  • বাদাম খেতে পারে।
  • রাতের খাবারে টক দই এবং সালাদ খাবেন এটা অনেক উপকারী।

মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর উপায়

মোটা মানেই অস্বস্তিকর কারণ মোটা মানুষ কাজ করতে অনেক কষ্ট হয়। মোটা মানুষের অনেক অসুখ থাকে। দেখতেও অসুন্দর লাগে। শারীরিক সুন্দর সৌন্দর্যটা হারিয়ে ফেলে।মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট এর মধ্যে আলোচনা করলে এটাও করে উপকার পাবেন। তিনটা উপায়ে মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানো যেতে পারে।
  1. খাবার ডায়েট চার্ট
  2. নিয়মিত ব্যায়াম এবং
  3. ওষুধের মাধ্যমে যেটা ডাক্তারের পরামর্শে আপনারা নিতে পারেন।
ডায়েট চার্ট অনুসরণ করে ওজন কমানো যেতে পারে অনেকে মনে করেন খাবার কম খেলেই ওজন কমে যেতে পারে। কিন্তু দেখা যায় এভাবে তারা আরো দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। কারণ অতিরিক্ত ক্যালরি শরীরে দেয়া যাবে না ক্যালরির অনুপাত হিসাব করে আমাদের খাবার খেতে হবে। এবং পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে যাতে করে শরীর দুর্বল হয়ে না পড়ে।
  • মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর খাবার তালিকার মধ্যে যে ধরনের খাবার আপনারা খেতে পারেন সেগুলো জেনে নেয়া যাক।
  • প্রোটিন জাতীয় খাবার ছোট ও মাছ বাদাম। মাংস খেলে ১ পিস আর বড় মাছ খেলেও ১ পিস এগুলো সপ্তাহে একবার খাবে।
  • ভিটামিন যুক্ত খাবার খেতে হবে ও নারকেলের খাওয়া যেতে পারে ।
  • পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে এবং যেসব খাবারে পানি আছে সেসব খাবার খেতে হবে যেমন ফলমূল শাকসবজি ইত্যাদি।
  • আশঁযুক্ত খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খেতে পারেন।
  • টক জাতীয় খাবার।
  • যেসব খাবার খাওয়া থেকে বাদ দিতে হবে সেগুলো জেনে নিন ।
  • শর্করা যুক্ত খাবার আটা রুটি ইত্যাদি।
  • চর্বি জাতীয় খাবার ফাস্টফুট জাতীয় খাবার এগুলো বর্জন করতে হবে যেমন চর্বিযুক্ত মাংস তেলে ভাজাপোড়া খাবার বার্গার ইত্যাদি ।
  • চিনি মিষ্টি জাতীয় খাবার বর্জন করতে হবে।
  • বিভিন্ন রকম কোলড্রিংস ঠান্ডা পানিও এগুলো বর্জন করতে হবে।
  • আইসক্রিম চকলেট এগুলো বর্জন করতে হবে।
এবার আসেন আমরা ব্যায়াম করে যেভাবে ওজন কমাতে পারি সেটা জেনে নিই।
বিভিন্ন রকম ব্যায়াম আছে তার মধ্যে আপনারা যেগুলা করতে পারেন তা নিচে দেয়া হল
হাটার মাধ্যমে
  • দৌড়ানোর মাধ্যমে
  • সাইকেল চালানোর মাধ্যমে
  • সাঁতারের মাধ্যমে
  • যোগাসনের মাধ্যমে
ওষুধের মাধ্যমে ওজন কমানোর যায় কিছু ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিন
  • Stimulantsএই ওষুধটি শরীরে অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • Fat Burners এটি চর্বি গলিয়ে দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
  • Appetite Suppressants এই ওষুধ খেলে খুদা কম লাগে তাতে আপনার ওজন কমতে সাহায্য করে
  • Carb Blockers এই ওষুধটি আপনাকে ক্যালোরি কম খেতে বাধা প্রাপ্ত করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
মেয়েদের দ্রুত ওজন কমানোর ওষুধের সুবিধা ও অসুবিধা
দ্রুত ওজন কমানোর জন্য যে ওষুধগুলো খাওয়া হয় সেগুলোর সুবিধা রয়েছে অসুবিধা ও রয়েছে সুবিধা গুলো জেনে নিন।
আপনি তো ওজন কমানোর জন্যই ওষুধগুলো খাবেন সে ক্ষেত্রে আপনি ওজন কমবে, চর্বি গলে যাবে ,মানসিক স্বাস্থ্যের কোনরূপ অসুবিধা হবে না ,আপনার সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে ।
এই ওষুধ খেলে আপনার খরচ বাড়বে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে এগুলো হচ্ছে অসুবিধা তাই নিজে নিজে কোন ওষুধ ব্যবহার করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ দেই ওষুধ গ্রহণ করা দরকার।

মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্ট

মেয়েদের ওজন কমানো যায় ডায়েট চার্ট দেখে ওজন কমানো সম্ভব। কিন্তু মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। তার সাথে মানসিক কোন সমস্যা থাকলে সেগুলোতে ওজন বেড়ে যেতে পারে তাই মানসিক সমস্যা কমিয়ে হাসিখুশি থেকে ঠিকমতো ঘুমিয়ে ব্যায়াম করে ডায়েট চাট দেখে ওজন কমানো যেতে পারে।
  • ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস গরম পানির সাথে একটি পাতি লেবুর রস মিশিয়ে খান। লেবুর রস চর্বি ছড়াতে সাহায্য করে।
  • কিছুক্ষণ পরে একটা রুটি ও একটা ডিম সিদ্ধ খাবেন
  • চা যখনই খাবেন গ্রিন টি খাবেন চিনি ছাড়া ।
  • আর যদি কফি খান সেটাও ব্ল্যাক কফি খাবেন চিনি ছাড়া চর্বি ঝরতে সাহায্য করে।
  • আঁশযুক্ত খাবার খাবে।এতে হজমে সহায়তা করে।
  • কার্বোহাইড্রেট খাবার পরিহার করাই ভালো।শরীরের চর্বি বেড়ে যায় তাতে করে ওজন বৃদ্ধি পায়। এসব খাবার পাউরুটি সফ্ট ড্রইং দুধ আলু ইত্যাদি।
  • শাকসবজি ও ফলমূল বেশি করে খাবেন ওজন কমতে সাহায্য করে। শাকও ফলমূলে ভিটামিন খনিজ ও ফাইবার রয়েছে।
  • ডাইটের পাশাপাশি আপনারা ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করলে শারীরিক প্রচুর ক্যালরি ঝরে। যা ওজন কমাতে আমাদের সাহায্য করে।

লেবু দিয়ে ওজন কমানোর উপায়

সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা গরম পানিতে টি লেবু রস মিশিয়ে খান এর মধ্যে মধু দিয়ে খেতে পারে তাতে ক্ষুধাটা কম লাগবে।চিনি ব্যবহার করা যাবে না।লেবু পানি শরীরের চর্বি কমাতে সাহায্য করে।লেবু পানি সকালের নাস্তা ৩০ মিনিট খাওয়ার আগে খাওয়া দরকার।লেবুতে আছে ভিটামিন সি যা বেশিপরিমাণ খেলে দাঁতের ক্ষতি হতে পারে তাই খাওয়ার পরে কুলি করে নিতে হবে।

এবার আপনি যদি ভাবেন যে আপনি বেশি করে পেট ভরে বিরানি খেয়ে নিলেন পরে লেবু পানি খেয়ে নিলেন তাতে কিন্তু কোন উপকার চর্বি গলবে না।এতে করে আপনার আরো ক্যালরি বেড়ে যাবে। একভাবে চর্বি খেয়ে যে আপনার লেবু পানিতে সম্পন্ন ক্যালোরি কমিয়ে দিবে তা হবে না আপনি নিয়মমাফিক লেবু পানিটা খাবেন।

লেবু পানি যে শুধু শরীরের ওজনই কমায় তা না ত্বকেরও অনেক উপকারে আসে। লেবু পানি রক্তে চর্বি ও শর্করা কমায় লেবু পানি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে ব্যবহার করেও চর্বি কমাতে পারি মেয়েদের ওজন কমানোর ডায়েট চার্টের মধ্যে এটাও রাখতে পারি।

লেখক এর শেষ কথা

ওজন বেড়ে গেলে সবার একটা বিরক্ত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায় যে কোন কাজ করা যায় না অসুস্থতা অনুভব হয়। তাই সবাই কিছুটা ওজন কমিয়ে থাকতে চাই। বিভিন্ন রকম ডায়েট চার্ট আছে যেগুলো আমরা অনুসরণ করতে পারি ।ওজন বেড়ে গেলে দেখতেও অনেক খারাপ লাগে।

উপরোক্ত পোস্টটি পড়ে আপনার যে বিষয় ভালো লেগেছে সেটা অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আরো পোস্ট পড়ার জন্য আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করতে পারেন। আমার পোস্টটি আপনার ভালো লাগলে আপনার বন্ধুবান্ধব এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;

comment url