বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রচনা
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রচনা সম্পর্কে জানতে গেলে ইলিশ মাছের সব সবদিকের আলোচনা করতে হবে।ইলিশ মাছের খাদ্যা অভ্যাস কেমন ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম,বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে আসুন আমরা জেনে নি।
বাংলাদেশে অনেক নদী থাকায় নদীমাতৃক দেশ বলা হয়।এদেশের মানুষকে মাছে ভাতে বাঙালি বলা হয়।বাংলাদেশের জাতীয় মাছের নাম হচ্ছে ইলিশ। এ মাছটি বাংলাদেশের বাঙ্গালীদের খুবই প্রিয় মাছ। শুধু বাংলাদেশেরই নয় বিশ্বের অনেক দেশে এই মাছটাকে অনেক পছন্দ করে।জাতীয় মাছ ইলিশ রচনা সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জানব।
ভূমিকা
আমরা এ পোষ্টের মধ্যে আপনাদেরকে ইলিশ মাছ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে সবকিছুই জানাবো।বাংলাদেশের জাতীয় মাছ এ দেশের রচনা সম্পর্কেও বিস্তারিত আলোচনা করব ইলিশ মাছ একটি সুস্বাদু। মাছ এটা দশটি দেশে আরহন করা হয়।বাংলাদেশ ৭৫ ভাগই উৎপাদিত হয়।সামুদ্রিক মাছ এবং গভীর পানির মাছ। ইলিশ মাছ কয় প্রকারের হয় তবে পদ্মার ইলিশটাই মানুষ বেশি পছন্দ করে।
ইলিশ মাছ কোন কোন দেশে পাওয়া যায়
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রচনাটি সম্পর্কে জানতে গেলে ইলিশ কোথায় পাওয়া যায় সেটাও জানতে হবে ।ইলিশ মাছ বাংলাদেশ ছাড়াও আরো দশটি দেশে পাওয়া যায় তার মধ্যে মালয়েশিয়া থাইল্যান্ড পাকিস্তান ভারত ইত্যাদি দেশে পাওয়া যায়। তবে ইলিশের প্রায় ৭৫ ভাগই বাংলাদেশ থেকেই পাওয়া যায়।দশ বছর ধরে ইলিশের উৎপাদন দুই গুণ বেড়েছে।
মায়ানমারে দশ শতাংশ ভারতে হয় ১৫ শতাংশ এবং অন্যান্য দেশে আরো কিছু।পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশের মতোই তারাও ইলিশ মাছ খায় এবং তারাও চাই ইলিশ মাছ চাষ করতে। আজ যখন জালে উঠায় তখন বেঁচে থাকে কিন্তু আলোর সংস্পর্শে আসলেই জাল থেকে নামালেই মারা যায়।বাংলাদেশ ভারত ও মায়ানমার যদি একই সাথে ইলিশ ধরা একই টাইমে নিষিদ্ধ করে।
তাহলে ইলিশ মাছের উৎপাদন বেশি হবে দেশের ১১ শতাংশ উৎপাদন ইলিশ মাছ থেকেই আসে সেই সাথে সেই সময় যত জেলে আছে তাদেরকে সরকারিভাবে সঠিকভাবে ভাতা প্রদান করলে তাদের জীবিকার উৎস ইলিশ ধরা এটা থেকে তারা কিছুটা মুক্তি পাবে। ইলিশের চাহিদা অনুপাতে উৎপাদন বাড়ানো দরকার। তাহলে ইলিশের দামটা একটু কমবে সকল পেশার মানুষ মাছটা কিনে খেতে পারবে।
ইলিশ মাছ সবারই প্রিয় কারণ সুস্বাদু এবং গন্ধ আছে যেটা সবাই খেতে পছন্দ করে।এটি এখন সব ধরনের মানসিক খেতে পছন্দ করে তাই সবাইকে উদ্যোগ নিয়ে ইলিশ উৎপাদনের মাত্রা বাড়াতে হবে এবং ডিম পাড়ার সময় যেন কোন জেলে জাটকা না ধরে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে মা ইলিশ না ধরে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
ইলিশ মাছের বৈশিষ্ট্য
ইলিশএকটি সামুদ্রিক মাছ। সাগরের বদ্বীপ অঞ্চলের পদ্মা মেঘনা যমুনা ইত্যাদি নদীতে ইলিশ ধরা পড়ে। যখন ডিম দেয়ার সময় হয় সমুদ্র থেকে এসে বড় নদীতে ডিম দিয়ে আবার সমুদ্রে চলে যায় ডিমগুলো ফুটে বাচ্চা হয় এবং এগুলো একটু বড় হলে আমরা জাটকা বলে থাকি। ইলিশ একটি গ্রীষ্মমন্ডলীয় ও মাছ।
ইলিশ মাছের বৈজ্ঞানিক নাম
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ হয় নাম হচ্ছে ইলিশ এটি লুনা পানির মাছ যেটা বাংলাদেশ ও ভারতের নদীতে গমন করে ডিম পাড়ার সময় তাই দুই দেশেও পাওয়া যায়। বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে এ মাছটি বেশি পাওয়া যায়।বাংলাদেশে চাঁদপুর চট্টগ্রাম বরিশাল এগুলোতে মাছ প্রচুর থাকে।রূপালী ইলিশের বৈজ্ঞানিক নাম হল Hilsa ilisha।Hilsa ilishaর তিনটি প্রজাতি রয়েছে ।যথা Hilsa toli Hilsa keele এবং Hilsa ilisha।Hilsa ilisha ডিম পাড়ার জন্য স্বাদু পানিতে আসে কিন্তুHilsa toli x Hilsa keele ডিম পাড়ার জন্য স্বাদু পানিতে আসার প্রয়োজন হয় না। তারা দুই প্রজাতি সামুদ্রিক বংশবিস্তার করতে পারে ।
ইলিশ মাছের খাদ্যাভ্যাস
ইলিশ মাছ প্রাণী কণা ক্ষুদ্র উদ্ভিদ এগুলা খেয়ে থাকে ইলিশ মাছ প্রজনন কালে খাদ্য খায় না এবং এর খাবারের কোন নৈর্বাচনিকতা নেই। খাদ্যের উপরে নির্ভর করে এগুলো বিভিন্ন আকারের হয়ে থাকে।
ইলিশ মাছ খাওয়ার ভালো ও খারাপ
- ইলিশ মাছ একটা সুস্বাদু মাছ যা বাঙ্গালীদের মাছের রাজা বলা হয়। ইলিশ মাছের অনেক উপকারী দিক রয়েছে সেগুলো জেনে নিন।অনেকের এর মতে মাছ চোখ মস্তিষ্ক হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম ম্যাগনেসিয়াম জিংক কপার ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড আয়রন সহ অনেক পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে।
- ইলিশ মাছ ভিটামিন এ, ই এবং ডি রয়েছে। ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে এবং ভিটামিন ডি শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় রক্ষা করে অরজিনীন থাকায় ডিপ্রেশনও দূর করে।
- তাছাড়া ইলিশ মাছের শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং থাইরয়েডের গ্রন্থির জন্য কাজ করেআনসারের হাত থেকেও রক্ষা করে।
- ত্বকের যত্নে ত্বকের যত্নে ইলিশ মাছের ওমেগা 3 ফ্যাট সাহায্য করে নমনীয় ওটাইপ রাখতে।
- চোখের যত্ন চোখের স্থলতা রক্ষায় ইলিশ মাছ অত্যন্ত ভালো।দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং বয়সকালে দৃষ্টিশক্তি কমার জন্য যে ভিটামিন দরকার সেটা সাহায্য করতে পারে।
- ইলিশ মাছে প্রচুর খনিজ উপাদান রয়েছে।পটাশিয়াম, জিং, ম্যাগনেসিয়াম, লোহ, আয়োডিন ও সেলিনিয়াম ইত্যাদি উপাদান রয়েছে। যা পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে এবং দাঁত ভালো রাখে মানসিক ও শারীরিক বৃদ্ধির বিকাশ করে।
- রক্ত সঞ্চালন EPAও DHAনামো রক্ত সঞ্চালন ভালো রাখে।
তাছাড়া কিছু বিশেষজ্ঞদের মতে যাদের কিডনি ও এলার্জির সমস্যা রয়েছে তারা ইলিশ মাছটা খাবেন না। কারণ এতে এলার্জি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে কিডনির সমস্যার বাড়তে পারে এবং তার সাথে শ্বাসকষ্টও বাড়তে পারে সেজন্য ইলিশ মাছটা না খাওয়াই ভালো।ইলিশ মাছ খেলে অনেক সময় গ্যাস বেশি শুরু হয় যাদের গ্যাস আছে সুগার আছে তারা ইলিশ মাছ খাওয়া থেকে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
ইলিশ মাছের প্রকারভেদ
ইলিশের কয়েকটি প্রকার আছে। ইলিশ তিন প্রজাতির হয় চান্দিনা ইলিশ, গুর্তা ইলিশ ও পদ্মা ইলিশ।জাটকা চাপিলা সার্ভিন ইত্যাদি প্রজাতির ইলিশপাওয়া যায়। এগুলো দেখতে বিভিন্ন রকম শারীরিক গঠন এবং স্বাদ ভিন্ন।বিভিন্ন প্রজাতি সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
জাটকা
- জাটকার দেহ পার্শিয়া ভাবে পরু পিট ও পেট সমান।
- মাথা লম্বাটে।
- জটকার আইস গুলো একটু বড় আঁকারের সংখ্যায় সাড়িতে ৪০ থেকে ৫০ টি হয়।
- জাটকাই শাখাযুক্ত রে থাকে ১৪ থেকে ২৪ টি পায়ু পাখনায়।
- জাটকারগন্ধটা ইলিশ মাছের মতোই।
- জটকা রান্না করার সময় ইলিশ মাছের মতই রান্না গন্ধ বের হয় করা যায়।
- জাটকারউপরে বড় কালো ফোটা থাকে এবং অনেকগুলো ফোটা থেকে পরে।
চাপিল
- চাপিলার দেহ বেশি পেটের দিকে চওড়া পার্শিয়া ভাবে পাতলা দেহ বিশিষ্ট।
- মাছের মাথার সম্যকভাবে ভোতা এবং আকৃতিতে ছোট।
- চোখের আকৃতি বড়।
- চাপিলার গন্ধ ইলিশ মাছের মত নয়।
- চাপিলা মাছ রান্না করার সময় ইলিশ মাছের মত গন্ধ পাওয়া যায় না।
- চাপিলা মাছের পিল ওপেনিং এ অনেক সময় জটকা মাছের মত ফোটা থাকে আবার অনেক সময় ফোটা থাকে না।
- ঠোঁট পাতলা চোয়াল অসমান।
- শাখাযুক্ত রে থাকে ১৬ টি পাবনা বৃক্ষর উপরে।
সার্ভিন
- এই মাছটি দেখতে পেটের দিকটা অনেকটা চ্যাপ্টা এবং পার্শ্বভাবে পুরো দেহের অধিকারী
- আইশ ছোট এবং ৮০-১২০ টি আইশ এর সংখ্যা থাকে।
- মাথা বড় এবং সামনে ভোতা।
- ১৬টি পাখাযুক্তরে হয়ে থাকে।
- ইলিশ মাছের মত গন্ধ নয়।
- সার্ভিন মাছ রান্না করলে ইলিশ মাছের মত গন্ধ পাওয়া যায় না।
- গিল ওপেনিং এর পরে কালো ফোটা থাকে।
চৌক্কা
- এই মাছটি দেখতে পিট ও পেট সমান।পার্শ্বীয়ভাবে পুরু।
- আইশ বড় আইশের সংখ্যা ৫৫- ৬০ টি।
- মাথা রাখ মাথা আপনাকে একটা বড় সামনের দিকেভোতা।
- ইলিশ মাছের মত গন্ধও বিশিষ্ট নয়।
- রান্না করলে ইলিশ মাছের মত গন্ধ পাওয়া যায় না।
- শাখাযুক্ত রে ১৬ থেকে ১৭ টি থাকে পৃষ্ঠপানার উপরে।
বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রচনা
জাতীয় মাছ ইলিশ। এ মাছ সুস্বাদু।এই সামুদ্রিক ও নোনা পানির মাছ।ইলিশ মাছ স্বাদে গন্ধে রং আকারে অতুলনীয়।আকারে ছোট বড় হয়ে থাকে। ছোট গুলোকে জাটকা বলে ডাকা হয়। সেগুলো আকারে ছোট কিন্তু সাধ ও গন্ধে একই।জাটকা মাছগুলো আকারে ছোট হলেও আইশে ভরা।বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশ রচনা সম্পর্কে আলোচনা করাতে জাটকা মাছওএর মধ্যে পড়ে।
ইলিশ মাছ চাষ করা যায় না ইলিশ মাছ নদীতে হয় সমুদ্র হয় সেখান থেকেই জেলেরা নৌকার সাহায্যে ধরে নিয়ে আসেএবং বাজারজাত করে।নদীর মাছের মত সামুদ্রিক ইলিশে স্বাদ হয় না। আর বাংলাদেশের ইলিশের স্বাদের তুলনাই হয় না।বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশেই ইলিশ মাছ রপ্তানি করা হয়।ইলিশ মাছ বিভিন্ন রকম করে রান্না করে খাওয়া যায়।
বিভিন্ন দেশেবিভিন্ন রকম করে মাছটিকে রান্না করে খায়। যেমন ইলিশ ভাপা, ইলিশের পাতুরি, ইলিশের দো পেঁয়াজি, ইলিশের ঝোল,সরষে ইলিশ,ইলিশ ভাজা, ইলিশ তরকারি,ইলিশ ফুলুরি, ইলিশ কচু ইত্যাদি ভাবে রান্না করে খাওয়া যায়।অনেক রকম মাছ আছে কিন্তু সব মাছের চাইতে ইলিশ মাছের স্বাদ ও গন্ধের জন্য মানুষ এই মাছকে বেশি পছন্দ করে এবং বাংলাদেশ মাছকে জাতীয় মাছ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
তাই আমাদের ইলিশ মাছ সম্পর্কে জানা উচিতএবংজাতীয় মাছ ইলিশ রচনাটা আমাদের মনে রাখা দরকার।জেলেরা এই মাছকে সাগরে গিয়ে নৌকার সাহায্যে ১০-১৫ দিন থেকে জাল টেনে মাছ ধরে নিয়ে আসে এই মাছ বাজারে বিক্রি করে তারা সংসার চালায়।বড় ধরনের ইলিশ ২০ লক্ষ পর্যন্ত ডিম দেয়। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস ডিম দেয় বেশি এই সময় মাছ ধরা নিষিদ্ধ সে সময় জেলেদেরকে সরকারিভাবে সহায়তা করা হয়।
ইলিশ মাছটি শারীরিক দিক দিয়ে বিভিন্ন রকম আকারের হয়ে থাকে।কয়েকটি প্রকার। শারীরিক গঠন নো সেরকম হয়। কিন্তু পদ্মার ইলিশই সবচেয়ে সুস্বাদু ইলিশটি মানুষ পছন্দ করে। স্ত্রী ইলিশ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। ইলিশ মাছ জালে উঠলে আলোতে আনার সাথে সাথেই মারা যায়।পৃথিবীর ইলিশের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশেই পাওয়া যায় ৭৫ শতাংশ ভাগ।
ইলিশ মাছের গুরুত্ব অনেক। এটা একটি অর্থনৈতিক কাজ কারণ এটি রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা হয়। তাই ইলিশের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে বাঙালিদের কাছে প্রিয় পাওয়া যায় তাই নানান দিক দিয়ে জাতীয় মাছের মর্যাদা ইলিশ মাছকে দেয়া হয়েছে ।বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় এটি বিভিন্ন দামে বিক্রি করা হয়। বিদেশের রপ্তানি করে প্রচুর অর্থ উপার্জন করা হয়
লেখকের মন্তব্য
ইলিশ মাছ আমাদের দেশের জাতীয় মাছ এবং ইলিশ মাছের রচনা ইলিশ মাছের পুষ্টি উপকারিতা অপকারিতা খাদ্য অভ্যাস এই পোস্টে মাধ্যমে ইত্যাদি তথ্য উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।পোস্টটি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।
আমার এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই শেয়ার করবেন। আপনাদের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন এবং অন্যান্যদের সাথে শেয়ার করে তাদেরকেও পোস্টটি পড়ার সুযোগ করে দিবেন ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url