ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি
ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। হজ ইসলামের একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। যার মাধ্যমে মানুষের পূর্বের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে দেন এবং নব জাতশিশু ন্যায় পবিত্র করে দেন। হজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কেও এখানে জানানো হবে ।হজ প্রতিবছর শুরু হয় জিলহজ মাসের ৮ তারিখ থেকে। মাথামুন্ডানো তা চুল কাটা ও কোরবানির মাধ্যমে হজ সম্পন্ন করা হয়।
ভূমিকা
হজের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে সংকল্প করা। আর্থিকভাবে সমর্থ্য শারীরিকভাবে ক্ষমতাশীল প্রতিটা মুসলমানের ওপরে হজ ফরজ ইবাদত। হজের গুরুত্বপূর্ণ অপরিসীম। হজের তিনটা প্রকারভেদ রয়েছে যা মেনে হজ করতে হয়। হজ এর ফরজ কাজ গুলো সঠিক নিয়মে করতে হবে।
ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কেও আপনারা জানতে পারবেন এই পোস্টটি করে।হজের প্রকারভেদ এর ভিত্তিতে ওমরাও হজের একটি অংশ হজের ফরজের পাশাপাশি ওমরার ফরজ রয়েছে ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি তা সম্পর্কেও আলোচনা করা হবে।
হজ্ব কাকে বলে
হজ্ব হচ্ছে আরবী শব্দ।এর অভিধানিক অর্থ হচ্ছে ইচ্ছা করা বা সংকল্প করা। ইসলামের পাঁচটি স্তম্বের মধ্যে একটি। আর্থিক ও শারীরিক ক্ষমতা সম্পূর্ণ প্রাপ্ত বয়স্ক মুসলমানের ওপর হজ্ব করা ফরয।ওমরা হজের সম্পর্কেও জানবো।এর সাথে আমরা ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কেও জানবো।
হজ্ব কয় প্রকার ও কি কি
হজ তিন প্রকার।যথা
হজ্জে ইফরাদ
হজ্জে তামাত্তু ও
হজ্জে কিরান
হজ্জে ইফরাদ
হজের নিয়তে ইহরাম বাধা এক ইহরামে হজ পালন করাকে হজে ইফরাদ বলে।
হজ্জে তামাত্তু
উমরা করার জন্য ইহরাম বেধে উমরা পালন করবে।উমরা হয়ে গেলে ইহরাম খুলে স্বাবাবিক অবস্থায় থাকবে এবং ৮ জিলহজ ইহরাম বেধে হজ সম্পূর্ণ করাকে হজে তামাততু বলে।
হজ্জে কিরান
একই সাথে একই নিয়াতে ইহরাম বেধে উমরা ও হজ পালন করাকে হজে কিরান বলে।মক্কায় পৌছিয়ে উমরা করবে একই ইহরামে হজ করে কোরবানি না হওয়া পর্যন্ত থাকবে।শুধু হজের ফরজ না ওমরা হজের ও ফরজ রয়েছে ।ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সেটা মেনেও ওমরা হজ করতে হবে ।
হজ্ব এর গুরুত্ব ও তাৎপর্য লেখ
হজ ইসলামের একটি স্তম্ব।যারা হজ ফরজ হওয়া সত্তেও হজ করতে যায়না পৃথিবীর লোভ লালোসায় ব্যস্ত তাদের জন্য নবি করিম (স.) কঠিন পরিণতির কথা বলেছেন।যদি কারো হজ যেতে দেরি হয় ও শরীয়তানুযায়ী হজ ফরজ হয়েছে কিন্তু শারীরিক অবস্তা ভালো না তাকে মৃত্যুর আগে বদলি হজের অশিয়ত করতে হবে।ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সেটা মেনেও ওমরা হজ করতে হবে ।
হজ মুসলিম বিশ্বকে একত্রিত করে।পারস্পারিক দন্দ নিরসনে হজ বিশেষ ভূমিকা পালন করে।মহানবি (স.) বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছিলেন এবং অনুপস্থিত সকলের কাছে পৌছাতে বলেছেন ।এ ভাষনকে বিদায় হজ বলে।আরাফাত ময়দানে অবস্থান, সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে দৌড়ানো,পাথর মারা পশু কোরবানি করা হজের ইবাদত।
হজ্জের ফরজ কয়টি ও কি
কিহজের ফরজ তিনটি।যথা
- ইহরাম বাঁধা
- আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
- তাওয়াফ করা
হজের ওয়াজিব কয়টি ও কি কি
হজের ওয়াজিব কয়েকটি।যথা
- জিলহজের ১০ তারিখে মুজদালিফায় অবস্থান করা।
- সায়ি করা । অর্থ্যৎ সাফা থেকে মারওয়া পর্যন্ত দৌড়ানো।
- পাথর মারা।
- মাথা মুন্ডানো বা চুল ছোট করা।
- পশু কোরবানি করা তামাত্ত ও কিরান হাজিদের।
- মক্কাবাসী ছাড়া অন্যরা তাওয়াফে ‘বিদা’ করা।
আপনার এই পোস্টটিতে হজ সম্পর্কে জানলেন যাতে হজের ফরজ ওয়াজিব সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি সে সম্পর্কেও আপনারা বিস্তারিত জানবেন ।
ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি
ওমরার ফরজ কয়টি কি কি সে সম্পর্কে আমরা জেনে নেই
ওমরার ফরজ দুইটি ।যথাইহরাম বাধা।
- কাবাঘর তাওয়াফ করা।
- ওমরারওয়াজিব কয়টি ওকি কি
- ওমরার ওয়াজিব তিনটি ।যথা
- ওমরাহর নিয়ত করা ইহরাম এর কাপড় পরার আগেই।
- সাফা ও মারওয়ার মধ্যবর্তী স্থানে সাত বার সায়ি করা।
- মাথা মুন্ডানো বা চুল ছোট করা।
লেখকের মন্তব্য
আলোচনা থেকে যা বোঝা যায় যে হজ আমাদের ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রোকন। যা প্রতিটি সমর্থ্যবান মুসলমানকে পালন করা ফরজ এবং সঠিক নিয়মে পালন করতে হবে।ওমরার ফরজ কয়টি ও কি কি এবং হজের ওয়াজিব কয়টি কি কি সম্পর্ক বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
আমার পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়স্বজন এবং অন্যান্যদের কাছে শেয়ার করতে পারেন আমার পোস্টটি পড়ে তারাও উপকৃত হোক ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url